কলকাতা, 27 নভেম্বর : কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে এক পার্শ্বশিক্ষিকার । আবারও মৃত্যু হল এক পার্শ্বশিক্ষকের । মৃত পার্শ্বশিক্ষকের নাম মহম্মদ আবদুল মজিদ । তিনি মালদার বাসিন্দা । বহুদিন ধরেই লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন ৷ পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের দাবি, মহম্মদ মজিদ পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর একদিনের জন্য অবস্থান মঞ্চে এসেছিলেন । অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির লোকের বক্তব্য, শরীর খারাপ থাকায় চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মহম্মদ মজিদ । কোথাও যাননি তিনি ।
ক্যানসার আক্রান্ত পার্শ্বশিক্ষকের মৃত্যু, আন্দোলনে যোগদান ঘিরে বিতর্ক
লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন মালদার পার্শ্বশিক্ষক আবদুল মজিদ ৷ রাজ্যে 17 দিন যাবৎ চলে আসা পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না সেই নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক ৷ পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের দাবি, মহম্মদ মজিদ পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর একদিনের জন্য অবস্থান মঞ্চে এসেছিলেন । অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির লোকের বক্তব্য, শরীর খারাপ থাকায় চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মহম্মদ মজিদ । কোথাও যাননি তিনি ।
মহম্মদ আবদুল মজিদ নামের ওই পার্শ্বশিক্ষক গত চার মাস ধরে লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন । হরিশচন্দ্রপুর থানার লতাসি গ্রামে তাঁর বাড়ি । মুম্বইয়ের টাটা রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছিল । সম্প্রতি তিনি মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন । সেখান থেকে গতকাল তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল । পরে বাড়ি আনার সময় পথে মৃত্যু হয় তাঁর । এ নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "13 নভেম্বর উনি আমাদের অনশন মঞ্চে এসেছিলেন । উনি আগে থেকেই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন । আমাদের এখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় । তারপরে দু'দিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর মারা গেছেন ।" যদিও, মহম্মদ আবদুল মজিদের ভাইপো জানিয়েছেন, তাঁর কাকা পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে কোনও দিন যাননি । চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন । দু'পক্ষের দুই রকম বয়ান নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে । তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষকের মৃত্যু হলেও রাজ্য সরকার নির্বিকার । যে রাজ্যে মদ্যপান করে কেউ মারা গেলে 2 লাখ টাকা পায়, সেখানে শিক্ষক মারা গেলে শিক্ষামন্ত্রীর তাকানোর সময় নেই । রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক শোষণের কারণে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষক মারা যাচ্ছেন । কোথাও কোথাও আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে । অথচ, তাতে রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই । পার্শ্বশিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা বেতন কাঠামো থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করা হচ্ছে ।"
অন্যদিকে, আজও পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সুর নরম করলেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে আজ শিক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসতে পারেন । সকালের দিকে এমনই গুঞ্জন শোনা গেছিল । সেই বিষয়ে আজ বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি ওঁদের কোনদিনও বসতে বলিনি । ওঁরা বসেছেন, ওঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবে । সরকার সবসময় সহানুভূতিশীল । বুঝতে হবে 2018-তে তাঁদের ভাতাবৃদ্ধি সহ EPF বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । মেডিকেলের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে । এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় তারা অন্তত বুঝবে যে একটা কিছু করা উচিত । সরকার তাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল হওয়া সত্ত্বেও, তারা 2018-তে পেয়েও, আবার 2019-এ বসে পড়ছে ৷ এটা কেন?"