রতুয়া, ৮ সেপ্টেম্বর : কোরোনা, লকডাউন, কাজ চলে যাওয়ায় নতুন কাজ খোঁজা, এসব নিয়ে আপাতত কিছু ভাবতে পারছে না রতুয়া ১ ব্লকের বাসিন্দারা৷ এখন তাঁদের মাথায় শুধুই রাস্তা ৷ বর্ষা মরশুমে গোটা ব্লকেই রাস্তাঘাট পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে ৷ ছোটখাটো দুর্ঘটনা নিত্যদিন ঘটছে ৷ আহতও হচ্ছে অনেকে ৷ যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা ৷ বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিরোধীরা ৷ রাস্তার পরিস্থিতি যে সত্যিই চিন্তার, তা মেনে নিচ্ছে শাসকদলও ৷ যদিও গোটা বিষয়টিকে উপরমহলের দিকে ঠেলে দিয়েছেন BDO ৷
উত্তর ও দক্ষিণ মালদা মহকুমার সংযোগস্থল রতুয়া ১ ব্লক ৷ এই ব্লকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রতুয়া-মালদা রাজ্য সড়কের ব্লক মোড় ৷ এখান থেকেই মালদা, হরিশ্চন্দ্রপুর ও দেবীপুরগামী রাস্তা বেরিয়েছে ৷ মোড় সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, থানা, BDO অফিস প্রভৃতি ৷ প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত ৷ চলাচল করে অসংখ্য যানবাহন ৷ কিন্তু বেহাল রাস্তার জন্য এই মুহূর্তে প্রত্যেকেরই অসুবিধে হচ্ছে ৷ বিশেষত গাড়িচালকদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি ৷ তাঁদের বক্তব্য, বেহাল রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে ৷ অথচ প্রশাসনের কোনও হুঁশ নেই ৷ এরপর যদি বড় কোনও দুর্ঘটনায় কারোর প্রাণ যায়, সেক্ষেত্রে তার দায় গাড়িচালকদের উপর চাপানো চলবে না ৷ সেই দায়ও প্রশাসনকে নিতে হবে ৷
এক বাসচালক অভিজিৎ পাল বলেন, “রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ৷ যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ৷ আমরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য সরকারকে নিয়মিত কর দিই ৷ কিন্তু বেহাল রাস্তা মেরামতে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷ রাস্তায় এত বড় বড় গর্ত যে আমরা বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে সেই জায়গা পার করতে বাধ্য হচ্ছি ৷ তাতেও দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে যায় ৷ সোজাসুজি বাস গর্তে নামালে গাড়ির সামনের ও পিছনের অংশ রাস্তায় ধাক্কা খাচ্ছে ৷ আর বাঁকা করে নামালে গাড়ি নিশ্চিতভাবে উলটে যাবে ৷”