মালদা, 6 জুলাই : তবে কি বাবা-মাকে গলা টিপে খুন করেছিল আসিফ? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিশকে । রিপোর্টে যে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে তা জানাচ্ছেন পুলিশ সুপারও। এনিয়ে আসিফকে ফের জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি । তবে এর জন্য আসিফকে আর পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হবে না বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।
18 জুন রাতে আসিফের খুনের ঘটনা পুলিশের নজরে নিয়ে আসেন তার দাদা আরিফ মহম্মদ । তাঁর বয়ান অনুযায়ী, 18 ফেব্রুয়ারি ছোট ভাই আসিফ তাঁর বাবা-মা, ঠাকুমা ও একমাত্র বোনকে খুন করে । আরিফের কথা শুনে সেই রাতেই পুরানো মাইল গ্রামে তাঁদের বাড়িতে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ । আসিফ সেই সময় বাড়িতেই ছিল । তাকে থানায় নিয়ে আসা হয় ।
জেরায় সে নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করে । পরদিন তাকে গ্রেফতার করা হয় । সেদিনই বাড়ি সংলগ্ন নির্মীয়মান গুদামঘর থেকে উদ্ধার হয় চারটি পচাগলা দেহাবশেষ । জেলা আদালতের অনুমতিতে আসিফকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ । জেরায় একেক সময় একেক কথা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে আসিফ । যদিও পরে পুলিশের চাপে সে একাধিক তথ্য জানাতে বাধ্য হয় । ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেন পুলিশকর্তারা।
দাদার উপস্থিতিতে আসিফ দেখায়, কীভাবে প্লাইবোর্ডের চৌবাচ্চায় পাঁচটি প্রকোষ্ঠ বানিয়ে সে পরিবারের পাঁচজনকে খুন করার চেষ্টা করেছিল । জেরায় আসিফ স্বীকার করে, পরিবারের সবাইকে খুনের জন্য সে একাধিক পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু প্রথম পরিকল্পনাতেই সে বাজিমাত করে । দুর্ভাগ্যবশত চৌবাচ্চায় জল ঢালার সময় তার দাদার জ্ঞান ফিরে আসে । সে তাঁর হাত ও পায়ের দড়িও খুলে ফেলে । তাই বেঁচে যায় ।