মালদা, 31 জুলাই: সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ৷ শুধু তিনি নন, নিখোঁজ তাঁর স্বামী ও চার বছরের ছেলেও ৷ গত 20 জুলাই পুলিশের কাছে ওই প্রার্থীর মা মেয়েকে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ তাঁর অভিযোগের তির ছিল এলাকার তৃণমূলের লোকজনের দিকে ৷ পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই প্রার্থী কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও সন্ধান দিতে পারেনি ৷ পুলিশের এই ভূমিকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান ও ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি ৷ ওই প্রার্থী-সহ তাঁর স্বামী ও ছেলেকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোমবার দুই সংগঠনের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল সংগঠিত করা হয় ৷ ঘেরাও করা হয় গাজোল থানা ৷
ঘটনাটি গাজোল ব্লকের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোহচি গ্রামে ৷ নিখোঁজ বিজয়ী প্রার্থীর নাম দিপালী বেসরা ৷ পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে তাঁর মা মংলি হেমব্রম জানিয়েছেন, সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি, কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে তাঁর মেয়ে কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৷ 61 নম্বর বুথে তাঁর মেয়ে জয়লাভও করেন ৷ গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার তৃণমূলের নেতৃত্ব তাঁর মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়ে-সহ জামাইকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছিল ৷ 19 জুলাই সকাল 7টা নাগাদ তারা তাঁর মেয়ে দিপালী, জামাই বিশ্বজিৎ মুর্মু ও চার বছরের একমাত্র নাতি সুব্রত মুর্মুকে গাজোল নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়ওয়া হয় ৷ তারপর থেকেই আর তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তৃণমূলের নেতৃত্ব তাদের অপহরণ করে কোনও গোপন জায়গায় গৃহবন্দি করে রেখেছে, এমনই অভিযোগ ৷
20 জুলাই এই অভিযোগ দায়ের হলেও পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীকে উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ, এই অভিযোগও উঠেছে ৷ ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির মালদা জেলা সভাপতি রবীন মুর্মু এই প্রসঙ্গে বলেন, "বাবুপুর অঞ্চলে আমাদের বিজয়ী প্রার্থী অপহৃত হওয়ার পর আমরা একাধিকবার গাজোল থানার দ্বারস্থ হয়েছি ৷ কিন্তু আমাদের প্রার্থী কিংবা তাঁর বাড়ির সদস্যদের পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি ৷ তাঁদের উদ্ধারে পুলিশকে চাপ দিতেই আজ আমরা গাজোল থানার ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছি ৷"