মালদা, 6 ডিসেম্বর: বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে আত্মহত্যায় (Student Died by Suicide) প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ কিন্তু তদন্ত এগোতেই ঘটনাটি সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নিল ৷ সমকামী সম্পর্কের (Homosexual) টানাপোড়েনেই দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে সেই বান্ধবী, যার বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ নিজের দাবির স্বপক্ষে কিছু ছবি ও ভিডিয়ো সামনে এনেছে সেই বান্ধবী ৷ পালটা আত্মঘাতী তরুণীর পরিবারের দিকেই প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ৷
ঘটনাটি মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের ৷ দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী দিন কয়েক আগে আত্মঘাতী হয় ৷ তখন তার পরিবারের তরফে দাবি করা হয় যে ওই ছাত্রীর এক বান্ধবী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ৷ সেই ঘটনায় ওই ছাত্রীটি জড়িত সন্দেহ করে বান্ধবীর বাবা হুমকি দিচ্ছিলেন ৷ মানসিক চাপে পড়ে ছাত্রীটি আত্মঘাতী হয়েছে (Student Death Mystery) ৷
এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ পুলিশি তদন্তেই ওই ছাত্রী ও তার বান্ধবীর মধ্যে এক অস্বাভাবিক সম্পর্কের সূত্র পাওয়া যায় ৷ দুই বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের একটি ভিডিয়ো ক্লিপও পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যক্তিগত ওয়ালে দুই বন্ধুর বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবিও পাওয়া যায় ৷ সেসব দেখেই চোখ কপালে ওঠে সবার ৷ তবে কি সমকামিতার জেরেই কি ওই ছাত্রীর আত্মহত্যা ? হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে দুই ছাত্রীর এমন সম্পর্ক নিয়ে পুলিশও অবাক ৷ তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট বান্ধবীকে জেরা করার কথা ভাবছে পুলিশ ৷ এই আত্মহত্যায় পুলিশও যেন রহস্যের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে ৷
যে বান্ধবীকে নিয়ে এত বিতর্ক, তার বাড়ি বিহারের আজিমনগরে ৷ মালদায় দাদুর বাড়িতে থাকাকালীন দু’জনের বন্ধুত্ব হয় ৷ সেই মেয়েটির দাবি, “দু’বছর আগে আমরা পরিচিত হই ৷ আমি হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটায় দাদুর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতাম ৷ ওই স্কুলেই আমার বান্ধবী পড়ত ৷ ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে একটা আলাদা সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ সেটা ভালোবাসার সম্পর্ক ৷ একটা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমন সম্পর্ক থাকে, আমাদের মধ্যেও সেই সম্পর্ক ছিল ৷ সময় পেলেই আমরা একসঙ্গে থাকতাম ৷ দিদার বাড়িতে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতাম ৷’’