মালদা, 25 ডিসেম্বর: টেট জালিয়াতির শিকড় ছড়িয়ে পড়েছে বিহার পর্যন্ত ৷ অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়লেন বিহারের এক মহিলা ৷ পুলিশের জালে ধরা পড়েছে আরও দু’জন ৷ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ধৃত তিনজনকেই সোমবার জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ জামিনের আবেদন খারিজ করে 3 জনকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মালদা জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারক ৷
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে জেলা জুড়ে ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটে পুরাতন মালদার গৌড় কলেজে ৷ এদিনই রাজ্যজুড়ে হয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা ৷ পুরাতন মালদার গৌড় কলেজেও সেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ৷ হঠাৎ পরীক্ষকদের নজরে পড়ে, এক মহিলা পরীক্ষার্থীর মুখের সঙ্গে তাঁর অ্যাডমিট কার্ডের ছবি সম্পূর্ণ মিলছে না ৷ অ্যাডমিট কার্ডের ছবিতেও কিছুটা যেন ঘষে দেওয়া হয়েছে ৷ যদিও ওই পরীক্ষার্থীকে তখন কিছু জানানো হয়নি ৷ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সদর মহকুমাশাসককে জানানো হয় ৷
খবর পেয়ে কলেজে চলে আসে মালদা থানার পুলিশ ৷ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওই পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন প্রশাসনের লোকজন ৷ তখনই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা ৷ দেখা যায়, পরীক্ষার্থী রূপালি মণ্ডলের হয়ে ওই মহিলা পরীক্ষা দিয়েছেন ৷ এরপরেই তাঁকে মালদা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ পুলিশি জেরায় ওই মহিলা স্বীকার করেন, তাঁর নাম পুষ্পাঞ্জলি কুমারি ৷ বয়স 33 বছর ৷ বাড়ি বিহারের পটনায় ৷ রূপালি মণ্ডলের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁকে ভাড়া করা হয়েছিল ৷ তাঁর সঙ্গে মোটা অংকের টাকার চুক্তিও হয়েছিল ৷