মালদা, 19 ডিসেম্বর: প্রকৃতির সম্ভার অপার ৷ রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা ৷ তারপরও সুদিনের মুখ দেখেনি মালদার (Malda) হবিবপুর ব্লকের ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিতনটোলা গ্রাম ৷ 100 শতাংশ আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের সর্বত্রই দারিদ্র্যের ছাপ ভীষণ স্পষ্ট ৷ অথচ, এই গ্রামেই রয়েছে তিনটি বিরাট জলাশয় ৷ তার টানে ভিড় জমায় পাখির ঝাঁক ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রশাসন উদ্যোগী হলে এই তিনটি জলাশয়কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠতে পারে পর্যটনকেন্দ্র (Bird Watching Tourism) ৷ তাতে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন হবে ৷ কিন্তু, প্রশাসন দায় সেরেছে শুধুমাত্র একটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সবমিলিয়ে এই গ্রামে প্রায় 30 ঘর মানুষের বাস ৷ পেট চলে ক্ষেতমজুরি করে ৷ পেটের টানে অনেকেই পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে ৷ মালদা শহর থেকে এই গ্রামটির দূরত্ব প্রায় 30 কিলোমিটার ৷ গ্রামে ঢোকার মুখে খানিকটা পাকা রাস্তা থাকলেও তারপরই শুরু হয় বেহাল মেঠো পথ ৷ গ্রামের প্রান্তের দিকে শেষের তিন কিলোমিটারে অবশ্য সেই পথেরও লেশমাত্র নেই ৷ এবড়ো-খেবড়ো জমির উপর দিয়েই হোঁচট খেতে খেতে যাতায়াত করতে হয় ৷ প্রত্যেকবার পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজনীতির কারবারিরা গ্রামে ঢোকেন ৷ ভোট চেয়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন ৷ তারপর সব ভোঁ-ভাঁ !
আরও পড়ুন:নেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য, জেলায় পোস্তচাষ বন্ধ করতে উদ্যোগী মালদা প্রশাসন
এই গ্রামে যে তিনটি বিল রয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বড়টি হল, নয়াবাঁধ ৷ গ্রামের মানুষ বলছেন, সারা বছর বিলগুলিতে হরেক কিসিমের পাখি দেখা যায় ৷ শীতের সময় পরিযায়ী পাখিরাও দূর-দূরান্ত থেকে উড়ে আসে ৷ বসে যায় রঙের মেলা ৷ যাঁরা পাখি দেখতে ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে এই গ্রাম সেই সময় স্বর্গ ! কিন্তু, পাকা রাস্তা না-থাকায় সেভাবে পর্যটকদের ভিড় হয় না ৷ অল্প যে ক'জন বিলের ধারে আসেন, তাঁরা ক্য়ামেরাবন্দি করে নিয়ে যান রঙিন স্মৃতি ৷