পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ইদের বাজারে উপচে পড়া ভিড়, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পথে নামল পুলিশ

আজ বিকেলে মালদা শহরে মিছিল করে জেলা পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার, বণিক সভার সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু সহ অন্যরা ।

By

Published : May 23, 2020, 8:35 PM IST

Breaking News

মালদা, 23 মে : মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তারপরই খুশির ইদে মেতে উঠবে জেলাবাসী। তাই জেলার ইদের বাজারও জমজমাট । কিন্তু এর মাঝেই কোথাও যেন সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে । সামাজিক দূরত্ব অমান্য করেই চলছে কেনাকাটা। অনেকেই মাস্ক না পরে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে জেলাবাসীকে ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে পথে নামল জেলা পুলিশ। আজ বিকেলে মালদা শহরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিছিল করেন পুলিশকর্মীরা ।

দিনের পর দিন জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । সংক্রমণ রুখতে জারি রয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন। তবে লকডাউনে বেশ কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে লকডাউনের মধ্যেই এবার ইদ পড়েছে । তাই ইদের প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। জেলা প্রশাসন দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই ইদের বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। সামাজিক দূরত্ব অমান্য করেই চলছে বাজার। মাস্ক ছাড়াই বাজার করতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পথে নামল মালদা জেলা পুলিশ। আজ বিকেলে বণিক সভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মালদা শহরে মিছিল করে জেলা পুলিশ। মিছিল শেষে বণিকসভার কনফারেন্স হলে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে পুলিশ প্রশাসন। মিছিলে পা মেলানোর পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার, ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রশান্ত দেবনাথ, বণিক সভার সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু সহ অন্যরা ।

সচেতন করতে পুলিশের মিছিল

এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "এখন বেশিরভাগ দোকান খুলে গিয়েছে। তারমধ্যেও রাজ্য সরকারের কিছু নির্দেশিকা রয়েছে। দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা, হাত স্যানিটাইজ় করা সহ একাধিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হল। বিক্রেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে, নিজেদের দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, ক্রেতাদের জন্য স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করতে।"

ইদের বাজার

বাজারের ভিড় প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, "আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভিড় এড়াতে সমস্তরকম পদক্ষপে করা হচ্ছে । পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের ১৪ দিনের জন্য কোয়ারানিটনে রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় 30 হাজার মানুষ কোয়ারানটিনে রয়েছেন । এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details