মালদা, 23 মার্চ : জেলাশাসকের তরফে গতকালই জানানো হয় যে, সাধারণ মানুষকে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন । সেই কথামতো আজ সকাল থেকেই জেলরা কিছু ওষুধের দোকানে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার বিক্রি করা হয় । আর তা সংগ্রহ করতে ভিড় আছড়ে পড়ে ওষুধের দোকানগুলিতে ।
এই মুহূর্তে বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের ৷ কোরোনা মোকাবিলায় এই দুটি জিনিস খুব কার্যকরী বলে প্রচার চলছে ৷ যদিও WHO জানিয়েছে, মাস্কের থেকে বেশি কার্যকরী হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ৷ এই নিয়ে প্রচার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে এই দুটি জিনিস ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন সংগঠন এই দুটি সামগ্রী তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিলি করছে ৷ কিন্তু তাতেও চাহিদা মিটছে না ৷ তাই জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে এই দুই সামগ্রী তৈরি করে ওষুধের দোকানের মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হবে ৷ WHO-এর গাইডলাইন মেনেই তৈরি হয়েছে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ৷ আজ জেলার প্রতি ব্লকে একাধিক ওষুধের দোকান থেকে 55 টাকার বিনিময়ে এই দুটি জিনিস বিক্রি করা হয়েছে ৷ আর তা কিনতে ওই দোকানগুলিতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো ৷
মালদা শহরের নেতাজি মার্কেটেও একটি দোকানে এই দুটি জিনিস বিক্রি করা হয়৷ তা কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়ে ৷ অনেকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পেলেও বেশিরভাগই তা পায়নি । শহরের সানি পার্কের বাসন্দা আশু সর্দার নামে এক ক্রেতা বলেন, "কোরোনা এখন এই রাজ্যেও ছড়াতে শুরু করেছে ৷ তার মোকাবিলায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার খুব জরুরি ৷ কিন্তু এখন এই দুটি জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আজ খবর পেলাম, এই দোকান থেকে এই দুটি জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে ৷ 55 টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৷ তাই লাইনে দাঁড়িয়ে এই দুটি জিনিস কিনেছি ৷ প্রত্যেককে একটি করে মাস্ক আর স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হচ্ছে ৷"
মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার কিনতে ভিড় ওষুধের দোকানে শহরের মহানন্দা পল্লির বাসিন্দা স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, "মাস্ক আর স্যানিটাইজ়ার নিতে নেতাজি মার্কেটে এই দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছি ৷ কোরোনা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ৷ বাজারে অন্য কোনও দোকানে এই দুটি জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না ৷" ওই ওষুধের দোকানের মালিক সঞ্জয় দে বলেন, "জেলাশাসকের দপ্তর থেকে BCDA-র মাধ্যমে আমার দোকানে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাঠানো হয়েছে ৷ প্রতিটি স্যানিটাইজ়ারের বোতলের দাম 40 টাকা ৷ মাস্কের দাম 15 টাকা ৷ আজ সকাল থেকে আমরা সেই দুটি জিনিস বিক্রি করছি ৷ গোটা জেলার বিভিন্ন জায়গায় কিছু ওষুধের দোকানে এসব দেওয়া হয়েছে ৷ আমাকে দেওয়া হয়েছে 500 বোতল স্যানিটাইজ়ার ও 500 মাস্ক ৷ সকাল সাড়ে 9টা থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে ৷ ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রায় সব শেষ ৷