পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Malda Hospital Problem: নেই জল-শৌচালয়, হাসপাতালের বাইরে গাছতলায় রাত কাটে রোগীর পরিজনেদের - মালদার খবর

নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা ৷ নেই শৌচালয় ৷ মালদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Malda hospital problem) বাইরে গাছতলায় রাত কাটে রোগীর পরিজনেদের (patient parties spend nights under tree)৷

patient parties spend nights under tree, no arrangement of drinking water toilets in Malda hospital
নেই জল-শৌচালয়, হাসপাতালের বাইরে গাছতলায় রাত কাটে রোগীর পরিজনেদের

By

Published : Feb 10, 2022, 9:25 PM IST

মালদা, 10 ফেব্রুয়ারি: ঝাঁ চকচকে হাসপাতাল । পরিকাঠামোও নেহাত মন্দ নয় । সেখানে চিকিৎসা চলছে রোগীর । বাইরে বটগাছের নীচে রাত কাটাতে হচ্ছে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনদের (patient parties spend nights under tree)। গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীত, সব ঋতুতেই একই ছবি । সাধারণ কোনও হাসপাতাল নয়, এই ছবি মালদা জেলার একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Malda hospital problem)। যদিও খুব তাড়াতাড়ি সেখানে রোগীর পরিজনদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

ক্ষমতায় এসে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর নির্দেশে চাঁচল (Malda news) গ্রামীণ হাসপাতাল উন্নীত হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । জেলার দ্বিতীয় ব্লাড ব্যাংক-সহ সেখানে চিকিৎসা পরিকাঠামোরও প্রভূত উন্নতি হয়েছে । কিন্তু চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনদের কথা ভাবা হয়নি । তাঁদের জন্য হাসপাতাল চত্বরে একটি প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হলেও তা তালাবন্ধ । নেই পানীয় জল কিংবা শৌচকর্মের ব্যবস্থাও । এ সব পরিকাঠামো দ্রুত চালুর দাবি তুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী মানুষজন ।

নেই জল-শৌচালয়, হাসপাতালের বাইরে গাছতলায় রাত কাটে রোগীর পরিজনেদের

বাড়ির এক সদস্যকে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছেন জনৈক রীণা সাহা । তাঁর কথায়, “হাসপাতালে থাকার সমস্যা । ভিতরে আমাদের থাকতে দেয় না । বাইরে থাকতে হচ্ছে । ঠান্ডার মধ্যেও গাছতলায় থাকা ছাড়া উপায় নেই । একটা ঘরের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হত ।”

আরও পড়ুন:Jalpaiguri Covid Hospital : জঙ্গল-আগাছায় ভরা জলপাইগুড়ির অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল

একই বক্তব্য মিরজাদপুর থেকে আসা অশোক সরকারের । তিনি বলেন, “হাসপাতালে আমার রোগী ভর্তি রয়েছেন । দিনে এদিক ওদিক করে কাটিয়ে দিচ্ছি । কিন্তু রাতে ঠান্ডার মধ্যে বটগাছের নীচেই আমাদের থাকতে হচ্ছে । এ ভাবে ঘুম কী হয় ? শৌচকর্মেরও কোনও ব্যবস্থা এখানে নেই । পয়সা দিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শৌচকর্ম করতে হচ্ছে ।”

দেবীগঞ্জের বাসিন্দা চন্দন দাস জানাচ্ছেন, “রোগীর সঙ্গে একজনকে হাসপাতালে আসতেই হয় । হাসপাতাল চত্বরে পানীয় জলের নলকূপে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে । বাইরে থেকে 20 টাকা করে জল কিনে খেতে হচ্ছে । যেখানে সেখানে শৌচকর্ম করতে হচ্ছে ।”

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার কুমারেশ ঘোষ জানান, “হাসপাতাল চত্বরে একটি প্রতীক্ষালয় রয়েছে । কোভিডকালে সেই ঘরগুলি হাসপাতালের তরফে ব্যবহার করা হত । এখন করোনা সংক্রমণের গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী । তাই ওই ঘরগুলিকে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে । বাকি সমস্যাও আমরা খতিয়ে দেখছি ।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details