পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Malda Hospital: বেশিরভাগ রোগীরই সেলাই শুকোচ্ছে না, হচ্ছে সংক্রমণ; সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসায় ক্ষোভ - Chanchal Super Speciality Hospital Problem

Chanchal Super Speciality Hospital Problem: অস্ত্রোপচারের পর সপ্তাহ পেরোলেও শুকোচ্ছে না সেলাই ৷ সেখানে দেখা দিয়েছে সংক্রমণ ৷ সরকারি চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিল রোগীর পরিবারের লোকেরা ৷

Chanchal Super Speciality Hospital
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 11, 2023, 1:33 PM IST

চাঁচল হাসপাতালের চিকিৎসায় ক্ষোভ রোগীর পরিবারের

মালদা, 11 অক্টোবর:ওয়ার্ডের বেশিরভাগ রোগীর সেলাইয়ের জায়গায় দেখা দিয়েছে সংক্রমণ ৷ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ রোগীর পরিবারের মধ্যে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ৷

জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের পেমা জগদলা গ্রামের হাসিনা খাতুন অক্টোবরের প্রথমে এই সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন ৷ এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি ৷ একই দশা চাঁচলের বীরস্থলের ফিরদৌসি খাতুনের ৷ সন্তানের জন্মের পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাঁকেও ৷ তাঁদের মতো আরও অনেকেরই এক দশা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর তাঁদের সেলাই শুকোচ্ছেই না ৷ উলটে সেলাইয়ের জায়গায় সংক্রমণ হচ্ছে ৷ গর্ত হয়ে যাচ্ছে ৷ ঘা থেকে প্রতিদিন পুঁজ-রক্ত বের করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ ৷ তাই এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা ৷

আরও পড়ুন:হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চলছে চিকিৎসা, আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ জেলাশাসকের

হাসিনা খাতুনের স্বামী আকমল হোসেনের বক্তব্য, "পেটে ব্যথা নিয়ে গত 28 সেপ্টেম্বর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে প্রথমবার এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম ৷ চিকিৎসক জানতে চান, প্রথম সন্তান কোথায় হয়েছে ৷ নার্সিংহোম বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আজেবাজে কথা বলতে শুরু করেন ৷ আমাকে 1500 টাকা দামের একটি ইনজেকশন কিনতে বলেন ৷ জানান, ইনজেকশন দিয়ে আমি যেন স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে চলে যাই ৷ আমি চিকিৎসকের পরামর্শমতো কাজ করি ৷ 1 অক্টোবর স্ত্রীর ফের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে এখানে রেফার করে দেন ৷ ওই রাতে অস্ত্রোপচার করে সন্তানের জন্ম হয় ৷ কিন্তু চিকিৎসক ঠিকমতো সেলাই করতে পারেননি ৷ সেখানে বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে ৷ সংক্রামিত জায়গা থেকে পুঁজ-রক্ত বেরোচ্ছে ৷ এখন স্ত্রীর অবস্থা খুব শোচনীয় ৷ ঠিকমতো উঠেও বসতে পারছে না ৷"

একই পরিস্থিতি ফিরদৌসি খাতুনের ৷ প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর মা রেহানা বেগম জানান, গত মঙ্গলবার সিজার করে মেয়ের সন্তান হয়েছে ৷ কিন্তু সেলাই ঠিকমতো করা হয়নি ৷ দেখে মনে হচ্ছে যেন কাঁথা সেলাই করা হয়েছে ৷ সেলাইয়ের জায়গায় গর্ত হয়ে গিয়েছে ৷ পুঁজ-রক্ত বেরিয়ে আসছে সবসময় ৷ ব্যাথায় মেয়ে থাকতে পারছে না ৷ এখন বলা হচ্ছে, দিনে তিনটি করে ইনজেকশন দিতে হবে ৷ প্রতিটি ইনজেকশনের দাম 960 টাকা ৷ তিনি বলেন, "আমরা গরিব মানুষ ৷ দিনে 2800 টাকার ইনজেকশন কেনার ক্ষমতা নেই ৷ চিকিৎসকরাও কেউ মেয়েকে দেখতে আসছেন না ৷ কী করব, বুঝতে পারছি না ৷"

আরও পড়ুন:ডেঙ্গির ‘আঁতুরঘর‘ চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

এ নিয়ে হাসপাতালের সুপার মহম্মদ শামিম বলেন, "রোগীদের পরিজনরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন ৷ এ ব্যাপারে আমি ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব ৷" জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়িও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details