মালদা, 10 সেপ্টেম্বর : মালদায় আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন । তাই হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন । কিন্তু ট্রেনের কামরায় উঠতেই চক্ষু চড়কগাছ । কামরায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পোকামাকড় । তাও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন । কিন্তু ট্রেনের প্যান্ট্রিকারের খাবার আসতেই হতভম্ব হয়ে যান । খাবার এতটাই নিম্নমানের যে তা মুখেই তোলা যায়নি । এবারেও সবটাই মানিয়ে নিয়েছিলেন । সহ্যের বাঁধ ভাঙে যখন একমাত্র সম্বল বাড়ির খাবার খুলতেই তাতে উড়ে এসে বসে আরশোলা । কোনও লোকাল ট্রেন নয় শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো এলিট ট্রেনে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন যাত্রীরা ।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সৈকত বসাক । মালদায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসার জন্য হাওড়া থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেসের C-3 কামরায় ওঠেন । ট্রেন থেকে নেমেই রেল কর্তৃপক্ষের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন । বলেন, "হাওড়া থেকে ট্রেনে ওঠার পর দেখি গোটা কামরা আরশোলায় ভরতি । পোকামাকড় গায়ে উঠে আসছে । তারপর এল ট্রেনের খাবার । মুখে তোলার অযোগ্য । জেলের কয়েদিদেরও এই খাবার দেওয়া হয় না । ভাত শক্ত হয়ে প্লাস্টিকের মতো হয়ে গিয়েছিল । বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে যে খাওয়ার এনেছিলাম তাই বের করি । তাতে আরশোলা উড়ে এসে বসে । এইসব দেখার পর ট্রেনে পুরো সময় আর কোনও খাবার বের করতে পারিনি । এই ঘটনা শুধু আজকের নয় । দু'দিন আগে আমার মা কোয়েম্বাতুর এক্সপ্রেসে করে ফিরছিলেন । মায়ের জন্য আমি IRCTC-কে অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম । সেই খাবার আসেনি । বাধ্য হয়ে মা প্যান্ট্রিকারের খাবার নিয়েছিল । ওই খাবার খেয়ে আমার মা এখনও অসুস্থ । রেলের কাছে এটা শুধুই ব্যবসা । ওরা আমাদের থেকে টাকা নেবে । কিন্তু ভালো পরিষেবা দেবে না । "