মালদা, 24 অক্টোবর : মধ্যগগনে দুর্গাপুজো । মন খারাপ বাঙালির । কোরোনা এবার সবাইকে ঘরবন্দী থাকার বার্তা দিয়েছে । চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা কিছুদিন ধরেই পইপই করে সবাইকে সাবধান করেছেন, মানতে হবে বিধিনিষেধ । নয়তো উৎসবের জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে কোভিড হাসপাতল অবশ্য সেখানে তখনও জায়গা থাকলে । পরের বছরের পুজো কে দেখতে পাবে, তা ঠিক করতে হবে মানুষকেই । একই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান । এমনকী এনিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রীও । কিন্তু তবু অনেকে সব জেনেও অজানার দেশে । মালদা শহরে সেই আতঙ্কের ছবি বারবার ধরা পড়েছে ।
মাস্ক ছাড়াই মণ্ডপ হপিং, সংক্রমণের আতঙ্কে মালদা - malda news
মালদা শহরের প্রায় সব পুজোমণ্ডপে পুলিশ দেখা গেলেও নিরাপত্তাকর্মীদের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাস্কবিহীন আর থুতনিতে মাস্কধারী মানুষজন । ফল কী হতে পারে, ভবিষ্যৎই বলবে ।
কোরোনার দাপটে এবার জেলার পুজো উদ্যোক্তারা কোনওরকমে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । বড় থেকে ছোটো, এবার প্রায় সব পুজোই এক । রাতের আঁধারে আলোর খেলা উধাও । দূর থেকে মণ্ডপের চূড়াও এবার দেখা যায় না । নেই থিমের আঁকিবুকি । মণ্ডপসজ্জাও নিষ্প্রাণ । অনেক মণ্ডপের সামনে বেশ খানিকটা দূর থেকে রাস্তায় গোল দাগ করে দেওয়া হয়েছে । মণ্ডপের সামনে যেতে গেলে গোলাপজলের জায়গায় গায়ে পড়ছে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইডের বাষ্প । মানুষকে অচেনা শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে আদালতের নির্দেশ । এত ঝক্কি না সামলে অনেকে নিজের পাড়া বা বাড়িতেই এবার উৎসবের আনন্দ উপভোগ করছে । মুঠোফোনের দুনিয়া ঘেটে জেলার পুজো রপ্ত হচ্ছে । কিন্তু তার মধ্যেও কিছু মানুষ ছুটছে মণ্ডপে । বিশেষত জেন ওয়াইয়ের দল । দেবী দুর্গার আশির্বাদ নেওয়া, না কি নিজস্বী ফ্রেমবন্দী করা, উদ্দেশ্যটা বোঝা যায় না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানাচ্ছেন সচেতন মানুষজন । কারণ, পুজো উদ্যোক্তারা দর্শকদের উপর সেভাবে নজরদারি চালাবে না বলেই তাঁদের ধারণা । কিন্তু শহরের প্রায় সব পুজোমণ্ডপে পুলিশ দেখা গেলেও নিরাপত্তাকর্মীদের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাস্কবিহীন আর থুতনিতে মাস্কধারী মানুষজন । ফল কী হতে পারে, ভবিষ্যৎই বলবে । যদিও আজ সন্ধেয় এনিয়ে সতর্ক হয়েছে পুলিশ । বিনা মাস্কে কাউকে দেখলেই তাদের মাস্ক পরিয়েছেন পুলিশকর্মীরা ।