মালদা, 11 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোটের কোনও আসনের ফলাফল টাই হলেই রিটার্নিং অফিসারের ইশারায় তা হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের ৷ অনৈতিকভাবে তৃণমূলকে জেতাচ্ছেন বিডিও ৷ মালদায় এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলল বিরোধীরা ৷ এর আগে ভোটের দিন শাসকের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, ব্যালট বাক্স লুটের মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছিল ৷ তৃণমূল শিবির যে তাতেও নিজেদের উপর ভরসা করতে পারছে না, তা বারবার দাবি করে এসেছে বিরোধীরা ৷
বিরোধীরা আগেই অভিযোগ করেছিল, গণনার সময় শাসকের হয়ে ব্যাটিং করবে প্রশাসন ৷ বাস্তবেও কি তাই ঘটতে শুরু করল? অন্তত ইংরেজবাজারের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী প্রার্থীরা সরাসরি ব্লক রিটার্নিং অফিসার তথা বিডিওর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন ৷ গণনা কেন্দ্রেই তাঁরা এ নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন ৷ তাঁদের একজন কংগ্রেস, অন্যজন বিজেপির প্রার্থী ৷ আরও একটি অদ্ভুত বিষয়, দুটি বুথের ফলই টাই হয়েছে ৷ তবে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই প্রশাসনের ৷
ইংরেজবাজারের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের 1 নম্বর বুথে এবার কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন রেশমা খাতুন ৷ কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন তাঁর স্বামী শেখ মুন্না ৷ আজ সন্ধেয় মালদা জেলা স্কুলের গণনাকেন্দ্রে স্ত্রীকে পাশে রেখে তিনি বলেন, "আমাদের বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি ব্যালট বাক্স ছিল ৷ দুটি বাক্সের ব্যালট পেপার গণনার পর আমার স্ত্রী এবং শাসকদলের প্রার্থী নাজেমা বিবি, দু'জনেই 616টি করে ভোট পায় ৷ হঠাৎ করে ব্যালট বাক্সের বাইরে থেকে নতুন করে তৃণমূলের প্রতীকে ছাপ লাগানো একটি ব্যালট পেপার সেখানে নিয়ে আসা হয় ৷"