মালদা, 24 ফেব্রুয়ারি : পরে বিয়ের কথা বলায় বিষ খাইয়ে যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৷ মৃতের নাম ভজো মহালদার (19)৷ মানিকচকের ধনরাজ গ্রামের ঘটনা ৷ শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে । যদিও শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই অভিযুক্ত প্রেমিকা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ ৷ গতকাল ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচদিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।
ভজো মহালদার পেশায় শ্রমিক ছিল ৷ বছরের বেশিরভাগ সময়ই ভিন রাজ্যে কাজ করত ৷ মৃত্যুর আগে সে গুজরাতে কাজে গিয়েছিল। শিবরাত্রি উপলক্ষে কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরে। তার বাবা সুরঞ্জন মহালদার মৎস্যজীবী ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকারই এক কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভজোর । সেই কিশোরী ক্লাস টেনের ছাত্রী । শুক্রবার সন্ধেয় এলাকায় শিবরাত্রি উপলক্ষে জলসা হচ্ছিল ৷ ভজো সেই জলসা দেখতে যায়৷ অভিযোগ, সেই সময় ওই কিশোরী ভজোকে ফোন করে কাছেই একটি আমবাগানে ডাকে ৷ সেখানে ভজোকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে সে৷ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই বাগানেই প্রেমিকা সহ দু’-তিনজন ভজোকে বিষ খাইয়ে দেয়৷
ভজো ফোন করে সমস্ত ঘটনা পরিবারের লোকজনদের জানায়৷ খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ভজোকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মালদা মেডিকেলে রেফার করেন৷ কিন্তু, তার আগে মাঝ রাস্তায় মৃত্যু হয় ভজোর৷ এই ঘটনায় ওই কিশোরীর সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভজোর বাবা৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেই রাতেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে৷
ভজোর বাবা সুরঞ্জন মহালদার বলেনন, “শুক্রবার রাতে হঠাৎ ছেলে ফোন করে জানায়, সেদিনই তাকে বিয়ে করতে চাইছে মেয়েটি৷ ছেলে রাজি না হওয়ায় ওরা তিন-চারজন মিলে তাকে কীটনাশক খাইয়ে দেয়৷ ছেলে তার প্রেমিকা ও আরেকজনের নাম বলতে পেরেছে৷ এরপরেই মারা যায় সে৷ আমি দোষীদের শাস্তি চাই৷”