মালদা, 2 এপ্রিল : কীর্তন করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান । ঘুরতে ঘুরতেই মালদায় ভাগ্নির বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। এদিকে গ্রামে তখন কোরোনা আতঙ্ক । খবর পেয়েই ওই বৃদ্ধকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু ভাগ্নির পরিবারে পাঁচজন সদস্য । তাই আলাদা করে থাকার জায়গা হয়নি মামার । শেষমেশ নৌকার মধ্যেই কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন তিনি । মালদার হবিবপুরের ঘটনা ।
বৃদ্ধের বাড়ি নদিয়ার নবদ্বীপে ৷ কীর্তন করেই দিন কাটে। কীর্তন করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান । ঘুরতে ঘুরতেই দিন পাঁচেক আগে পৌঁছান মালদায় ৷ লকডাউনে বন্ধ গণপরিষেবা ৷ তাই বাড়ি ফিরতে পারবেন না । এই অবস্থায় কোথায় যাবেন? কী করবেন ? ভাবতে ভাবতে পৌঁছে যান হবিবপুরের ডোবাপাড়ায় ভাগ্নির বাড়িতে ৷ কীর্তনের আসরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাই মামা যে সংক্রমিত নন, তার কী নিশ্চয়তা আছে। তড়িঘড়ি বৃদ্ধকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান আশপাশের বাসিন্দারা । চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে 14 দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন নিরঞ্জনবাবুকে । কিন্তু এ যে উলটো বিপদ । একেই পাঁচজনের ভরা সংসার ভাগ্নির । এর মধ্যে আবার মামাকে কীভাবে কোয়ারান্টাইনে রাখবে ?
বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ভাগ্নির বাড়ির সদস্যরা । শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বুলবুলচণ্ডী শ্মশানের পাশে টাঙন নদীতে বাঁধা নৌকায় রাখা হবে নিরঞ্জনবাবুকে ৷ এরপর থেকেই নৌকোই ঠিকানা বৃদ্ধের ৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর দূর থেকে নৌকা করে তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও পানীয় জল ৷ শুধু ভাগ্নির বাড়ির লোকজন নয়, তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে গ্রামের লোকজনও ৷