মালদা, 20 জুলাই : কোরোনা উপসর্গ নিয়ে মালদা শহরে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের ৷ আজ ভোরে মালদা মেডিকেলের SARI ওয়ার্ডে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে৷ স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, গত 24 ঘণ্টায় জেলায় সংক্রমণের সংখ্যা 64। সংক্রমিতরা সবাই মালদা শহরের বাসিন্দা৷ এর মধ্যে রয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিভাগীয় প্রধানও৷ তবে স্বাস্থ্যবিভাগের প্রকাশিত কোরোনা তথ্য নিয়ে খানিক ধন্দও দেখা দিয়েছে৷ গত 24 ঘণ্টায় শহর ছাড়া জেলার অন্য কোথাও কেউ সংক্রমিত হয়নি, এমন তথ্য মেনে নিতে পারছে না কেউই৷ যদিও এই নিয়ে কোনও কর্তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
মালদায় কোরোনা উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
কোরোনা উপসর্গ নিয়ে মালদা শহরে বৃদ্ধের মৃত্যু৷ গত 24 ঘণ্টায় শহরেই সংক্রমিত 64 জন ৷
ওই বৃদ্ধ শহরের সর্বমঙ্গলা পল্লির বাসিন্দা৷ প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দিন পাঁচেক আগে তাঁকে শহরের এক নামী নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছিল ৷ গতকাল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে মালদা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ SARI ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷ আজ বেলা 12 টার সময় তাঁর লালারস সংগ্রহ করার কথা ছিল৷ কিন্তু ভোরেই তিনি মারা যান৷ সরকারি নির্দেশ মেনে লালারস পরীক্ষা না করেই তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ উল্লেখ্য, এর আগেও সর্বমঙ্গলা পল্লি এলাকার এক বৃদ্ধ কোরোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছিলেন৷ তিনি যে আবাসনে থাকতেন, সেই আবাসনের প্রত্যেকের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছিল৷ তার মধ্যে রয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিভাগীয় প্রধানও ৷ তাঁর লালার নমুনায় কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ তবে তাঁর পরিবারের সদস্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে ৷ তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি সুস্থই রয়েছেন৷ হোম আইসোলেশনে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন ৷
নতুন করে যাঁরা কোরোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের দুই কর্মী৷ এনিয়ে এই দপ্তরের কর্তা ও আধিকারিক মিলিয়ে মোট ১০ জন সংক্রমিত হয়েছেন৷ এতে সমস্যায় পড়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর৷ প্রভাব পড়েছে কাজকর্মেও৷ আজও সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপিট টেস্টের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে৷ এভাবে একের পর এক কর্মী ও আধিকারিক সংক্রমিত হতে থাকলে ভবিষ্যতে কীভাবে কাজ হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে প্রশাসনও৷ আজ জেলাশাসকের দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে দমকল ও ব্যাঙ্ককর্মীদের লালারসেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে আতঙ্কে শহরবাসী৷ এপর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬৯০৷