মালদা, 21 জুন : জল ভরতি ক্যানেলেই নাকি চলছে সংস্কারের কাজ । 100 দিনের কাজের তালিকায় রয়েছে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের নাম । মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে 50 লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল কর্মীরা । প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েত আবার তৃণমূলেরই দখলে । অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছেন আধিকারিকরা । তদন্তের প্রাথমিক পর্বে অভিযোগের বেশ কিছু সত্যতা সামনে এসেছে । তবে এখনও পর্যন্ত জমা পড়েনি তদন্ত রিপোর্ট ।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে 10 আসন বিশিষ্ট গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচটি করে আসন দখল করে কংগ্রেস ও তৃণমূল । পরে কংগ্রেসের সমর্থনে বোর্ড গড়ে তৃণমূল । প্রধান হন তৃণমূলের সীমা বিবি । পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের অভিযোগ, প্রধানের পদ পেয়েই ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেন সীমা । দলীয় সদস্যদের কোনও তোয়াক্কা করেন না তিনি । কংগ্রেসের সদস্যদের নিয়েই কাজ করেন । কংগ্রেসের সদস্য এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশের সহযোগিতায় তিনি MGNREGA-তে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন । বর্তমানে পঞ্চায়েত এলাকায় তিনটি কাজ চলছে । তার মধ্যে রয়েছে একটি ক্যানেল সংস্কারের কাজও । এই মুহূর্তে ক্যানেলে যথেষ্ট জল রয়েছে । তারমধ্যেই চলছে সংস্কারের কাজ ! অভিযোগ, এই কাজে ভুয়ো শ্রমিকদের নাম দেখিয়ে 50 লাখের বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সীমা বিবি । এমন কী ভিন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের নামও মাস্টার রোলে দেখানো হয়েছে ।
প্রধানের বিরুদ্ধে BDO-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসির । তিনি বলেন, "ক্যানেলের কাজ চলছে । সেখানে কাজের নামে ভুয়ো শ্রমিকদের নাম মাস্টার রোলে ঢোকানো হয়েছে । শ্রমিকরা কাজ না করলেও তাদের নামে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে । দিল্লিতে কর্মরত শ্রমিকদের নামও মাস্টার রোলে আনা হয়েছে । এককথায়, কাজ না করেই এরা NREGA প্রকল্পের টাকা তছরুপ করছে । এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রধান, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি, নির্মাণ সহায়ক এবং স্থানীয় কিছু লোকজন । প্রধান তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতলেও এখন তিনি কোন দলে রয়েছেন তা বলা মুশকিল । কংগ্রেস কর্মীদের নিয়েই পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন । তৃণমূলের সদস্যদের বৈঠকে ডাকা হচ্ছে না । কোনও রেজ়োলিউশন ছাড়াই সাদা কাগজে আমাদের স্বাক্ষর করাচ্ছেন । অভিযোগ পেয়ে ব্লক থেকে তদন্তে এসেছেন আধিকারিকরা । দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয় ।"