মালদা, 22 জানুয়ারি: তিন বছর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিদ্যুতের লাইন৷ সেই লাইন আজও ঠিক হয়নি৷ ফলে তিন বছর ধরে বিদ্যুৎহীন এলাকা৷ কুপি কিংবা লণ্ঠনই ভরসা পড়ুয়াদের৷ শুধু তাই নয়, এলাকায় পানীয় জলের সংযোগও নেই তিন বছর ধরে৷ অগভীর নলকূপের জল খেয়ে নানাবিধ পেটের রোগে ভুগছে গ্রামবাসীরা৷ এ নিয়ে একাধিকবার পঞ্চায়েত থেকে বিদ্যুৎ দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে৷ কাজ হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত আজ পথ অবরোধে শামিল হয় আট থেকে আশি৷ অবরোধে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়৷ ভোটের মুখে এই ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের৷ এই নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপিও৷
বিদ্যুৎ সংযোগ ও পরিস্রুত পানীয় জলের দাবিতে আজ বিক্ষোভে সরব হয়ে ওঠে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ধুমসাডাঙি গ্রাম৷ এই দুই দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর-মালদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীরা৷ দীর্ঘ অবরোধে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের৷ অবরোধে আটকে পড়ে পণ্যবাহী বহু লরিও৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৭ সালের বন্যায় এই গ্রামের বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি ধসে পড়ে৷ ফলে ২৯টি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ বন্যার জল নেমে যায় ক’দিন পরেই৷ কিন্তু বিদ্যুতের লাইন আর চালু হয়নি৷ এখন গ্রামে বাড়ির সংখ্যা বেড়েছে৷ বিদ্যুতের জন্য পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷ এলাকায় পানীয় জলের কোনও বন্দোবস্তও করা হয়নি৷
স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা রবিদাস বলেন, “গত বছর আমার মেয়েটা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে৷ কুপি-লণ্ঠনের আলোতেই তাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে৷ এলাকার সব ছেলেমেয়েরাই এভাবে কষ্ট করে পড়াশোনা করে৷ গরমে টেকা যায় না৷ নীয় জলেরও কোনও ব্যবস্থা নেই৷ প্রধান কিংবা পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের পাত্তাই দেয় না৷ বিদ্যুতের দাবিতে আমরা পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি৷ কিন্তু দিচ্ছি, দেব বলে ওরা তিন বছর পার করে দিল৷ তাই আজ আমরা পথ অবরোধ করে নিজেদের দাবিতে সরব হয়েছি৷”