মালদা, ২৩ ফেব্রুয়ারি : উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির একটি আতসবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল মালদার ন'জন শ্রমিকের। মৃতদের মধ্যে একজন মথুরাপুরের বাসিন্দা। বাকি আটজন মানিকচকের এনায়েতপুরের।
উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি জেলার চৌরি থানার রোটাহার গ্রামে মানিকচকের ন'জন শ্রমিক কার্পেট বোনার কাজে গিয়েছিল। আজ দুপুরে ওই কার্পেট কারখানার পার্শ্ববর্তী একটি আতসবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় আতাউর মোমিন, আব্দুল গফ্ফর, মহঃ সুভান আনসারি, ইসরাফুল মোমিন, আবদুল কালাম মোমিন, আলমগির মোমিন, জাহাঙ্গির আলম, আব্দুল কাদির ও মোসাওর মোমিনের। মৃত শ্রমিকের মধ্যে চারজন ৮-১০দিন আগেই উত্তরপ্রদেশে গেছিলেন। বাকিরা গত ৪-৫ মাস ধরে সেখানে কাজ করতেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি, মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। এছাড়াও জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ও পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ দু'জনই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। মোত্তাকিন সাহেব বলেন, "উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির চৌরি এলাকায় বিস্ফোরণে মানিকচকের এনায়েতপুরের আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই একই জায়গায় কাজ করতেন। কীভাবে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তার সঠিক তদন্ত করতে হবে। স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকব। উত্তরপ্রদেশে আমাদের কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। নিজেদের সাধ্যমতো আর্থিকভাবে পরিবারগুলিকে সাহায্য করব।"
স্থানীয় বাসিন্দা মহঃ রেজাউল হক জানান, উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি জেলার চৌরি থানার অন্তর্গত রোটাহার গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এনায়েতপুর থেকে সেখানে আটজন কার্পেট বোনার কাজে গেছিল। আজ দুপুরে হঠাৎ পাশের বিল্ডিংয়ে বিস্ফোরণ হয়। কীভাবে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তা তাঁরা জানতে পারেননি। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উত্তর মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ও স্থানীয় বিধায়ক মোত্তাকিন আলম মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু তাঁরা এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিবারকে কোনওরকম সাহায্যের কথা ঘোষণা করেননি। তাঁরা চান রাজ্য সরকারের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের সরকার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।