মালদা, 28 ফেব্রুয়ারি:মেয়ে হয়ে জন্মানো কি তার অপরাধ (New Born Baby Girl Rescue) ? জন্মের পরেই সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে ত্যাগ করল পরিবারের লোকজন । গ্রামের রাস্তায় কালভার্টের নীচ থেকে ফুটফুটে ওই কন্যাকে উদ্ধার করলেন এক ফেরিওয়ালা । তাকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন তিনি । খবর পেয়ে সদ্যোজাতকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে নবজাতকের । তবে বাচ্চাটি পুরোপুরি সুস্থ বলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে (New Born Baby Girl Rescue)।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পেমাই এলাকায় । আজ সকালে পেমাই গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন এক ফেরিওয়ালা । হঠাৎ কালভার্টের নীচ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনে চমকে যান তিনি । রাস্তা ছেড়ে নীচে নেমে দেখেন, কালভার্টের তলায় পড়ে রয়েছে ফুটফুটে একটি বাচ্চা । দেরি না-করে তিনি বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নেন । খবর দেন স্থানীয় ভালুকা পুলিশ ফাঁড়িতে । পুলিশ কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ওই সদ্যোজাতকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান ।
মালদায় কালভার্ট থেকে উদ্ধার সদ্যজাত শিশুকন্যা আরও পড়ুন:Covid Cases Malda Zilla Parishad : একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত ৩১ জন কর্মী, প্রায় অচলাবস্থা মালদা জেলা পরিষদে
ওই ফেরিওয়ালা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বাচ্চাটিকে দত্তক নিতে চান (Babygirl Rescue In Under Calvert) । তাঁর চার ছেলে । কিন্তু কোনও মেয়ে নেই । তাই এই মেয়েকে তিনি বড় করে তুলবেন । ভালুকাবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নিশ্চয়যানের মালিক শেখ এনামুল বলেন, “একটি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে এসে শুনি, পেমাই মাঠ থেকে একটি সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছে । পরে দেখি, পুলিশ আধিকারিকরা বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসছেন । এখন বাচ্চাটির প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে । খুব সুন্দর দেখতে বাচ্চাটি । এক ফেরিওয়ালা তাকে পেমাই মাঠে খুঁজে পেয়েছে । তাঁর চারটি ছেলে থাকলেও কোনও মেয়ে নেই । তাই ওই ফেরিওয়ালা বাচ্চাটিকে দত্তক নিতে চায় । সে বাচ্চাটির নামকরণও করে ফেলেছে । মেয়ের নাম রেখেছে ফুলটুসি । আমি চাই, বাচ্চাটিকে তাঁকেই দত্তক দিয়ে দেওয়া হোক ।”
মালদায় কালভার্ট থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত শিশুকন্যা ভালুকা ফাঁড়িতে কর্মরত এএসআই মহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “সকাল আটটায় বাচ্চা উদ্ধারের খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি ফাঁড়ির বড়বাবু আর হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসিকে জানিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করি। পরে তাকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসি । বাচ্চাটির চিকিৎসা চলছে । কে বা কারা তাকে ফেলে গিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।”