মালদা, 23 জুলাই : মালদায় গত 24 ঘণ্টায় কোরোনায় সংক্রমিত 54 জন ৷ এর মধ্যে মালদা শহরেই সংক্রমিতের সংখ্যা 26 ৷ এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত 1827 ৷ পুরাতন মালদা, চাঁচল, কালিয়াচক, মানিকচক, গাজোল ও রতুয়া এলাকায় কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ সংক্রমণ রুখতে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি আজ মালদাতেও কঠোর লকডাউন চলছে ৷ সকাল থেকে জেলার রাস্তাঘাট ছিল প্রায় জনশূন্য ৷ খোলেনি কোনও বাজার কিংবা দোকানপাট ৷ লকডাউন কার্যকর করতে সকাল থেকেই রাস্তায় মোতায়েন ছিল পুলিশ ৷ এমনকী জেলার পুলিশ অধিকারিকরাও আজ পথে নেমেছিলেন ৷
মালদায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল 1800 - Overall covid 19 situation in malda
ভাইরাসের চেইন ভাঙতে রাজ্যের পাশাপাশি মালদায় চলছে লকডাউন । এরই মধ্যে জেলায় নতুন করে কোরোনা সংক্রমিত 54 ৷ মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল 1827 ।
বর্তমানে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদা কোরোনা হটস্পট ৷ এই জেলায় কোরোনার সংক্রমণ যেন লাগামছাড়া ৷ শুধুমাত্র গতকাল জেলায় সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল ৷ সংক্রমিত হয়েছিল মাত্র 26 জন ৷ রাত পেরোতেই সেই সংখ্যা আবার পুরানো জায়গায় ফিরে এসেছে ৷ নতুন করে যে 54 জনের লালারসের নমুনায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন সাইবার ক্রাইম থানার IC, BSF কর্মী, জেলাশাসকের দপ্তরের একাধিক কর্মী, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মী, এমনকী এক চিকিৎসকও ৷ তবে লালারস পরীক্ষার সংখ্যা নিয়ে মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে ৷ তাঁদের বক্তব্য, গত কয়েকদিন ধরে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ লালারসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে ৷ অনেকে নিজেদের লালারস পরীক্ষা করাতে গেলেও নমুনা নেওয়া হচ্ছে না ৷ শুধু সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে নয়, এই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের একাংশের তরফেও ৷ যদিও এনিয়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷
কোরোনা নিয়ন্ত্রণে আজও জেলায় লকডাউন কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে ৷ সকাল থেকেই পথে নেমেছে পুলিশ ৷ নেমেছেন পুলিশকর্তারাও ৷ বিনা অনুমতিতে কাউকে শহরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ আজ বন্ধ ছিল সমস্ত বাজার ও দোকানপাট ৷ সকাল থেকেই সুনসান শহরের রাস্তাঘাট ৷ রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে লকডাউন কার্যকর করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার ৷ তিনি বলেন, “লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর করতে পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে শহর ও ব্লকগুলিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ৷ বিনা প্রয়োজনে কাউকে রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ মালদা ও পুরাতন মালদা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকাবন্দী করা হয়েছে ৷”