মালদা, ১৩ ফেব্রুয়ারি : টাকার লোভ দেখিয়ে আট বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫৫ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল মালদা থানার পুলিশ। গতরাতে অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে পুলিশকর্মীরাই উদ্ধার করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আজ নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত পুরাতন মালদার। নাবালিকার বাড়িও একই জায়গায়। তার দিদা জানান, ওই ব্যক্তি ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর একটা নাগাদ নাতনিকে পয়সার লোভ দেখিয়ে বাড়ির কাছেই একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে নাতনিকে ধর্ষণ করে। পরপর চারদিন নাতনিকে ধর্ষণ করা হয়। প্রথমে কিছু সন্দেহ না হলেও পরে রোজ দুপুরে ডাকায় সন্দেহ শুরু হয়। তারপর নাতনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটি জানতে পারি।
আবার গতকাল দুপুরেও ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে ডাকতে এলে সবাই তাকে ধরে ফেলেন। এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের চাপে পড়ে তিনি কুকর্মের কথা স্বীকার করে নেন। গতরাত ১২ টার পর মালদা থানার পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। নাবালিকার পরিবার আজ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
নাবালিকা বলে, "পয়সার লোভ দেখিয়ে বাড়ির কাছে একটা আমবাগান পার করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যেত। প্রতিদিন দুপুরে আমার সঙ্গে নোংরা কাজ করত। এই কথা কাউকে বললে মেরে ফেলার ভয়ও দেখাত।"
এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়ে নিজের কর্মের কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত। তাকে মারধর করে এলাকার লোকজন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় মালদা থানার পুলিশ। আজ নাবালিকার মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ দুপুরে নাবালিকাকেও শারীরিক পরীক্ষার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে POCSO ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।