মালদা, 7 জানুয়ারি: কুংস্কারের আচ্ছন্ন দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে (Neighbors Accused of Beating Two Superstitious Women in Malda) ৷ অভিযোগ প্রতিবেশীরা নিজেরাও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ৷ শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকায় ৷ ঠিক কী ঘটেছিল ? পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে নিরুদ্দেশ জামাই ৷ তাঁকে ফিরিয়ে আনতে গুনিনের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকার দুই মাঝবয়সি মহিলা ৷ অভিযোগ গুনিনের নিদানে তাঁরা প্রায় প্রতিদিনই পাড়ার মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় লাল কাপড়, জবাফুল, সিঁদুরের পুরিয়া, কখনও বা পান-সুপারি ফেলে আসতেন ৷ বিষয়টি নিয়ে আশংকায় ভুগছিলেন পাড়ার বাসিন্দারা ৷
স্থানীয়দের দাবি, লাল কাপড়, জবাফুল, সিঁদুরের পুরিয়া, এসবের কারণে পাড়ায় নানা ধরনের অঘটন ঘটছিল ৷ তাই কে বা কারা সেসব পাড়ার মোড়ে ফেলে যাচ্ছে, তার হদিশ পেতে তাঁরা তক্কেতক্কে ছিলেন ৷ অবশেষে গতকাল রাতে পাড়ার লোকজনের হাতে ধরা পড়ে যান দুই মহিলা ৷ তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ক্ষিপ্ত প্রতিবেশীদের হাত থেকে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্ত এক মহিলার মেয়ে সীমা দাসের কয়েকবছর আগে বিয়ে হয়েছিল ৷ তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে ৷ কিন্তু দু’বছর আগে হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সীমার স্বামী খোকন দাস ৷ তিনি ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক ৷ ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার পর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না ৷ জামাইকে ফিরে পেতে ওই মহিলা এবং তাঁর বোন কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকার এক গুনিনের দ্বারস্থ হন ৷ সেই গুনিনই তাঁদের নিদান দেন, যেখানে তাঁরা বসবাস করছেন সেখানকার তিনমাথার মোড়ে বিভিন্ন জিনিস রাতের অন্ধকারে রেখে আসতে হবে ৷ তাহলেই নাকি জামাই ঘরে ফিরে আসবে ৷ গুনিনের নিদান অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করেন তাঁরা ৷