মালদা , 20 অক্টোবর : অবশেষে বাংলাদেশে কাফ সিরাপ পাচারের অন্যতম কিংপিনকে গ্রেপ্তার করেছে নারকোটিক কন্ট্রোল বিউরো ৷ ধৃতের নাম সমীর দে । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই পাচারের মূল মাথাকে 16 নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মালদা জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারক ৷
বাংলাদেশে কাফ সিরাপ পাচারের মূল মাথাকে গ্রেপ্তার করল NCB - কাফ সিরাপ পাচারের মূল মাথাকে গ্রেপ্তার করল NCB
সম্প্রতি মালদা জেলার বিভিন্ন অংশে একাধিকবার কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৷ নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ধরাও পড়েছে এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা ৷ কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই পুলিশ ও BSF জানিয়েছে, ধৃতরা নেহাতই ক্যারিয়ার ৷ এর পিছনে কোনও বড় চক্র জড়িত ৷ বেশ কিছুদিন ধরেই এই চক্রের মাথাকে জালে তুলতে ময়দানে নেমেছিল NCB ৷ শেষ পর্যন্ত 64 বছরের বৃদ্ধ, এই চক্রের অন্যতম কিংপিন ধরা পড়ায় পুজোর মুখে খানিকটা স্বস্তিতে জেলা পুলিশ ৷
সমীর দে বালুরঘাটের নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা ৷ 64 বছরের বৃদ্ধ । NCB-র আইনজীবী সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে গত বছরের 5 নভেম্বর NCB গাজোল টোলপ্লাজায় 34 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি লরি আটক করে ৷ ওই লরিতে তল্লাশি চালিয়ে 25 হাজার বোতল কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ লরিটি দক্ষিণ দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল ৷ ওই লরি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কমলেশ মাঝি (43), পঙ্কজ মিশ্র (18) ও সৌম্য সরকার (29) নামে তিনজনকে ৷ কমলেশের বাড়ি বিহারের গয়া জেলার গোপালপুর গ্রামে ৷ পঙ্কজ উত্তরপ্রদেশের সন্ত রবিদাসনগর জেলার নগরদা উপরওয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ৷ সৌম্যের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলারই গঙ্গারামপুরের দক্ষিণ কেশবপুর গ্রামে ৷ ধৃতদের জেরা করে নাম উঠে আসে গঙ্গারামপুরের পশ্চিম হালদারপাড়ার বাসিন্দা সন্তু সাহার ৷ তার কাছেই ওই কাফসিরাপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ এরপরেই সন্তুকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ জেরায় সন্তু স্বীকার করে যে , সে বাংলাদেশে কাফ সিরাপ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ৷ কিন্তু এই পাচারচক্রের কিংপিন সে নয় ৷ বালুরঘাটের সমীর দে এই চক্রের মূল মাথা ৷ তারা দু’জন একসঙ্গেই এই ব্যবসা করে ৷ এরপর NCB-র পক্ষ থেকে সমীর দে-কে কলকাতা অফিসে ডেকে পাঠানো হয় ৷ সে অফিসে হাজিরা দিতেও যায় ৷ জেরায় সে স্বীকার করে, দীর্ঘদিন থেকে সে এই ব্যবসায় জড়িত ৷ এরপরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ গতকাল জেলা আদালতে পেশ করা হলে মুখ্য দায়রা বিচারক 16 নভেম্বর পর্যন্ত তাকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ সমীর দে’র বিরুদ্ধে NDPS অ্যাক্টের 8C (r/w) 21C, 23, 25 ও 29 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মালদা জেলার বিভিন্ন অংশে একাধিকবার কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৷ নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ধরাও পড়েছে এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা ৷ কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই পুলিশ ও BSF জানিয়েছে, ধৃতরা নেহাতই ক্যারিয়ার ৷ এর পিছনে কোনও বড় চক্র জড়িত ৷ বেশ কিছুদিন ধরেই এই চক্রের মাথাকে জালে তুলতে ময়দানে নেমেছিল NCB ৷ শেষ পর্যন্ত 64 বছরের বৃদ্ধ, এই চক্রের অন্যতম কিংপিন ধরা পড়ায় পুজোর মুখে খানিকটা স্বস্তিতে জেলা পুলিশ ৷ তবে পুলিশের অনুমান, শুধু সমীর দে নয়, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও অনেকে ৷