মালদা, 2 নভেম্বর: 26 অক্টোবর রাতে বাড়ির অদূরেই কুপিয়ে 'খুন' করা হয় মালদার (Malda) গাজোল ব্লকের খোসলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় সরকারকে ! কালীপুজোর মেলায় যাত্রাগান শুনে ভোররাতে বাড়ি ফেরার সময় একটি আমবাগানে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় নাম জড়ায় পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ সরকার-সহ আরও কয়েকজনের ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইমাদুর রহমানও ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত ধনঞ্জয়ের স্ত্রী লতিকা সরকার ৷ কিন্তু ঘটনার (Murder Case) পর সাতদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা ৷ ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলছেন তাঁরা ৷ এরই মধ্যে বুধবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে গ্রামে আসেন জাতীয় তফসিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনের (National Commission for SC and ST) ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ৷ সঙ্গে ছিলেন গাজোলের বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন, ডিএসপি আজহারউদ্দিন খান ও গাজোল থানার আইসি রণবীরকুমার বাগ ৷ কিন্তু, আগাম খবর দেওয়া সত্ত্বেও অরুণ হালদারের সঙ্গে দেখা করেননি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ৷ তাঁদের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অরুণ ৷ তাঁর সাফ কথা, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও উত্তরবঙ্গের আইজিপি-এর আচরণে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ৷ এঁদের দিল্লি তলব করে জবাবদিহি করা হবে ৷ প্রয়োজনে এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে কমিশন ৷
এদিকে, ধনঞ্জয়ের খুনের পর থেকেই আতঙ্কিত গ্রামবাসী ৷ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন গ্রামের প্রতিটি মানুষ ৷ তবে, এদিন কমিশনের প্রতিনিধিরা গ্রামে আসায় একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা ৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, "আজ গ্রামে জাতীয় এসসি এসটি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান এসেছেন বলে জানতে পেরেছি ৷ তিনি ধনঞ্জয়ের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ পুলিশ প্রশাসন নিজেদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে ৷ গ্রামে কোনও পুলিশ পাঠানো হচ্ছে না ৷ শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাঠানো হচ্ছে ৷ ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷"