মালদা, 27 অক্টোবর: লক্ষ্মীপুজোর মধ্যেই ভাণ্ডার খালির অভিযোগ ৷ নিজেদের নামে বরাদ্দ হওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা চলে যাচ্ছে অন্যদের অ্যাকাউন্টে ৷ এক কিংবা দু'জন নয়, এই ঘটনা ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের শ'খানেক মহিলার সঙ্গে ৷ এর পিছনে ব্লক অফিসের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলেছেন অনেকে ৷ পুজোর ছুটির পর অফিস খুললেই তাঁরা এনিয়ে বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানাতে চলেছেন ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন খোদ জেলাশাসক ৷
ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ৷ ওই ব্লকের শিমদাহা গ্রামের সাবিনা বিবি বলছেন, "আট মাস আগে আমার নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে উঠেছিল ৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার অ্যাকাউন্টে ওই প্রকল্পের একটি টাকাও ঢোকেনি ৷ সিএসপিতে এসে জানতে পারি, আমার নামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাঠানো হলেও সেটা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ৷ যার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে, তার নামও সাবিনা বিবি ৷ তবে দু’জনের অ্যাকাউন্ট নম্বর আলাদা ৷ অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢোকায় আমি আট মাস ধরেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি ৷ চারদিন ব্লকেও গিয়েছি ৷ কাজ হয়নি ৷ বিডিওর দেখাও পাইনি ৷ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফের নিজের কাগজপত্র জমা দিয়ে গিয়েছিলাম ৷ তখন সিভিক পুলিশরা বলেছিল, নতুন করে কাগজ জমা দিলে যা পাচ্ছি, সেটাও পাব না ৷ ওরা আমাকে অ্যাকাউন্ট ঠিক করতে বলেছিল ৷ এতদিন কিছু বুঝতে পারিনি ৷ আজ গোটা বিষয় জানতে পারলাম ৷"
আরেক উপভোক্তা, অর্জুনা গ্রামের সাকিনা খাতুনের কথায়, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না পেয়ে প্রতি মাসেই সিএসপিতে নিজের অ্যাকাউন্ট চেক করাতে আসি ৷ কিন্তু এতদিন কিছু বুঝতে পারিনি ৷ অবশেষে মাসখানেক আগে জানতে পারি, আমার নামে পাঠানো টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ৷ দু’জনের নাম এক হলেও অ্যাকাউন্ট নম্বর আলাদা ৷ আমার মনে হয়, ব্লকে ঠিকমতো কাজ না হওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ এই ঘটনার সঙ্গে ব্লকের কর্মীদেরও যোগ থাকতে পারে ৷ আমরা চাই, আমাদের নামে বরাদ্দ টাকা আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক ৷"