মালদা, 4 ডিসেম্বর : জ্বরের চিকিৎসা করাতে আসা এক নাবালিকার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল মালদা রেল হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে । ইংরেজবাজার মহিলা থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এই নাবালিকার মা । অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে মহিলা থানা । নির্যাতিতা ছাত্রীকে ভরতি করা হয় মালদা মেডিকেলে৷ আজ জেলা আদালতের বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেবে ওই নাবালিকা । এদিকে ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসক৷
সর্দি- জ্বর হয়েছিল ওই নাবালিকার । সঙ্গে ছিল শ্বাসকষ্টও ৷ বাবা রেলকর্মী ৷ তাই এক বন্ধুকে নিয়ে রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল সে৷ বুঝতে পারেনি, যে চিকিৎসক তাকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবেন, তিনিই তার সঙ্গে শ্লীলতাহানি করতে পারেন৷ বাস্তবে সেটাই ঘটেছে৷ সুযোগ বুঝে সেই চিকিৎসক শ্লীলতাহানি করেছে তার৷ এমনটাই অভিযোগ ওই ছাত্রীর মায়ের৷
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে তাঁর মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের জ্বর ও সর্দি-কাশি হয়েছিল৷ সামান্য শ্বাসকষ্টও ছিল৷ গতকাল সন্ধে 6টা নাগাদ তাঁর মেয়ে এক বান্ধবীকে নিয়ে মালদা রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়৷ তাকে পরীক্ষা করেন রেলের চিকিৎসক দিলীপ কুমার৷ তিনি নিজের চেম্বারে মেয়েকে পরীক্ষার নামে তার শ্লীলতাহানি করেন৷ বাড়ি ফিরে মেয়ে তাঁকে সব কথা জানায়৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেয়েকে নিয়ে ইংরেজবাজার মহিলা থানায় যান৷ দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে মেয়েকে শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
ইংরেজবাজার মহিলা থানার OC চুংকু ভুটিয়া বলেন, " অভিযোগ পেয়েই গতকাল রাতে ওই ছাত্রীকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ আজ হাসপাতাল থেকে তার ছুটি হয়েছে৷ আজই তাকে বিচারকের সামনে জবানবন্দী দেওয়ার জন্য জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (POCSO) অ্যাক্টের 10 নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্তও শুরু হয়েছে ৷ তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সন্ধান পাওয়া যায়নি৷"
মালদা রেলওয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসক দিলীপ কুমারের ঘর তালাবন্ধ৷ গতকাল সন্ধে থেকে তাঁর কোনও খবর নেই ৷ জানা গেছে, তিনি NF রেলের চিকিৎসক৷ সম্প্রতি শহরের মহানন্দা কলোনি এলাকায় তিনি বাড়ি তৈরি করেছেন৷ কিছুদিন আগে তিনি মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন৷ তবে এদিন বাড়িতেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি৷ তিনি কোথায়, তা জানাতে পারেননি তাঁর স্ত্রী কিংবা ছেলে৷