মালদা, 26 এপ্রিল: একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ মঙ্গলবার সকালে মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পুরনো মালদায় একটি ক্ষেত থেকে নাবালিকার (15) মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ দেহ উদ্ধারের 12 ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ছাড়াও পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, সবজি বিক্রি করে ওই নাবালিকার সংসার চলে ৷ তাই প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ ঘরের মেয়ে কীভাবে মোবাইল ফোনে কালিয়াচকের যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করল ৷ যুবককে না-দেখেও কীভাবে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হল সেটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ৷ মাত্র কয়েক মাসের পরিচয়ে কেন তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে পালাল ওই নাবালিকা ? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।
নির্যাতিতা নাবালিকার দেহের দখল নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিজেপি-সিপিএমের প্রকাশ্য কাজিয়া থেকে শুরু করে কালিয়াগঞ্জে ঘটনার মতো খুনিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে গেরুয়া শিবিরের পথ অবরোধ চলে দিনভর ৷ ময়নাতদন্তের পর যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতে পুলিশ কিশোরীর মৃতদেহ তার বাড়িতে পৌঁছে দেয় ৷ কিশোরীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা, পুরনো মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ-সহ অন্যরা ৷