মালদা, 27 সেপ্টেম্বর: প্রবল বৃষ্টিতে জেলার তিন প্রধান নদীর জলস্তর বেড়েই চলেছে ৷ বেশ কিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি ৷ জলের চাপে নদীবাঁধগুলির পরিস্থিতিও খারাপ ৷ ক্রমবর্ধমান বাকি নদীগুলির জলস্তরও ৷ অসংরক্ষিত এলাকাগুলিতে নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ তবে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে নতুন করে ভাঙনের কোনও খবর নেই ৷ কোন কোন নদীবাঁধের কোথায় কোথায় পরিস্থিতি খারাপ এবং তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷
সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি নদীরই জলস্তর দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করেছে ৷ বুধবার সকাল আটটায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 23.92 মিটার ৷ ফুলহর ছিল 27.10 মিটার উচ্চতায় ৷ জলস্তর বেড়ে চলেছে মহানন্দারও ৷ আজ সকালে এই নদীর জলস্তরের উচ্চতা ছিল 20.45 মিটার ৷ তবে একই সময় টাঙন ও পূনর্ভবা চূড়ান্ত বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে ৷ এ দিন সকালে টাঙনের জলস্তর ছিল 26.70 মিটার ৷ যা চূড়ান্ত বিপদসীমা থেকে 0.49 মিটার বেশি ৷
অন্যদিকে পূনর্ভবার জলস্তরের উচ্চতা ছিল 26.50 মিটার ৷ চূড়ান্ত বিপদসীমা থেকে 0.08 মিটার বেশি ৷ সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে আগামী কয়েকদিন প্রতিটি নদীর জলস্তর আরও বাড়বে ৷ আপার ক্যাচমেন্টের জল যতদিন নীচে নেমে আসবে, ততদিন জলস্তর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ৷ তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে নদীবাঁধগুলির রেইন কাট নিয়ে ৷ রেইন কাটের জন্য অনেক জায়গাতেই বাঁধ বিপন্ন হয়ে পড়েছে ৷
আরও পড়ুন:গঙ্গার গ্রাস থেকে মাত্র 300 মিটার দূরে দাঁড়িয়ে কাটাহা দিয়ারা হাইস্কুল!
সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের কথায়, সাম্প্রতিক অতি ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ বাঁধগুলিতে ক্ষত দেখা দিয়েছে ৷ এ নিয়ে দফতরের আধিকারিকদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ৷ উত্তর ভারত ও উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে মালদা জেলার প্রধান তিন নদীতে জলস্তর বেড়ে চলেছে ৷ তিনি বলেন, "বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দফতরের কর্মীরা সজাগ রয়েছেন ৷ তাঁরা 24 ঘণ্টা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছেন ৷ তৈরি রয়েছে জেলা প্রশাসনও ৷ গতকালই জেলাশাসক টাঙনের জলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন ৷ দুর্গত এলাকাগুলির জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী, ত্রিপল, খাদ্য ও ওষুধপত্র মজুত করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ৷"