মালদা, 12 ডিসেম্বর:দুই দিনাজপুরের পর মালদা ৷ মোটা অংকের মাইনের লোভে আরব দুনিয়ায় কাজে গিয়ে বিভুঁইয়ে ‘গৃহবন্দি’ এই জেলার পরিযায়ী শ্রমিকও ৷ সরকারের কাছে ঘরের ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন ৷ এই শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ৷ এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷
সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার 13 জন শ্রমিক দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ মালদার এক শ্রমিক সরবরাহকারী নৃপেন বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাঁরা বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন গাজোলের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিষা পিড়ালুতলা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণেন্দু বৈরাগীও ৷ তাঁদের দুবাইয়ে কম্পিউটার কিংবা শপিং মলের কাজে লাগানো হবে মাসিক 60 হাজার টাকা বেতনের বিনিময়ে ৷ সেই বেতনের লোভেই শ্রমিকরা পরিবার ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেন ৷ কিন্তু তাঁদের শারজা নিয়ে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছিল তাঁদের ৷ তাঁরা দু’দিন কাজ প্রতিবাদ করলে, ওই নির্মাণ সংস্থার লোকজন তাঁদের আবুধাবিতে নিয়ে গিয়ে একটি বাড়িতে কার্যত বন্দি করে রেখেছে ৷ তাঁদের পাসপোর্ট, ভিসা কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ এমনটাই জানানো হয়েছে পরিবার সূত্রে ৷ দেশে ফিরতে চাইলে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করছে ওই নির্মাণ সংস্থা৷ তাঁরা ভিডিয়ো বার্তায় নিজেদের দুরাবস্থার কথা পরিবারের সদস্যদের জানান৷ এরপরেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থ হন ৷
শিষা পিড়ালুতলা গ্রামের শ্রমিক পূর্ণেন্দুবাবুর স্ত্রী দেবী বৈরাগী বলেন, "দুবাই যাবে বলে 31 নভেম্বর ও বাড়ি থেকে বেরোয় ৷ 1 ডিসেম্বর কলকাতা পৌঁছোয় ৷ 5 তারিখ মুম্বই হয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ ওর সঙ্গে গঙ্গারামপুরের দু’জন ও ইটাহারের একজন শ্রমিকও ছিল ৷ শারজা পৌঁছোনোর পর ওদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ ওরা খুব কষ্টে আছে ৷"