মালদা, 13 জুন : যাদের কথা ভেবে তৈরি হয়েছিল বাজার, এখন সেখানে ব্রাত্য সেই কৃষক ও ব্যবসায়ীরা । সন্ধে হলেই কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জায়গা চলে যাচ্ছে অসামাজিক লোকজনের হাতে (Market in Chanchal allegedly occupied by antisocials)। বসছে মদ-জুয়ার আসর । বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে । কিন্তু প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি । তেমনটাই অভিযোগ সবার ।
অভিযোগ, চাঁচল কৃষক বাজার ঘিরে । চাঁচলের পাঞ্চালি এলাকায় 81 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই বাজার । 2016 সালে পাঁচ একর জমির উপর বাজারটি চালু হয় । এলাকার মূল বাজার এটি । প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই বাজারেই দৈনন্দিন জিনিসপত্র কেনেন । স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অর্থনীতিও এই বাজারের উপর নির্ভরশীল । কিন্তু এই বাজার ঘিরেই উঠেছে বিস্তর অভিযোগ । বাজারে আলোর সঠিক ব্যবস্থা নেই । নেই নিকাশি ব্যবস্থাও । নিয়মিত আবর্জনা সাফাই হয় না । নেই কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা । সবচেয়ে বড় বিষয়, সন্ধের পর বাজার চত্বরে রাজত্ব চালায় অসামাজিক লোকজন । এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা আরও একবার সরব হয়েছেন (Anti Socials Occupy Malda Market)।
আরও পড়ুন :প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জনে পাটুলির বাজারে কাউন্সিলরের সচেতনতামূলক প্রচার
এই বাজারেই মাছ বিক্রি করেন আবদুল্লা । তিনি বলেন, "বাজারের অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ । গোটা বাজার চত্বর আবর্জনায় ভর্তি । নিয়মিত সাফাই হয় না । দুর্গন্ধে টেকা যায় না । নিকাশির ব্যবস্থা নেই । বাজারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই । নিরাপত্তারও অভাব রয়েছে । তবে রাতের অন্ধকারে কী হচ্ছে, তা বলতে পারব না । কারণ, আমরা ব্যবসা সেরে দুপুরেই বাজার ছেড়ে বেরিয়ে যাই । নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশাসন বলতে পারবে । তৎকালীন এসডিও আমাদের নানা পরিষেবা দেওয়ার কথা বলে এখানে নিয়ে এসেছিলেন । কিন্তু আমরা সেই পরিষেবা পাইনি ।"
বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইদুল হক বলেন, "কিষান মাণ্ডির অবস্থা খুবই খারাপ । আগে বাজার নিয়মিত পরিষ্কার করা হত । এখন হয় না । গোটা বাজার জুড়ে প্লাস্টিক, পচনশীল আনাজ আর খালি মদের বোতল । দুর্গন্ধে মানুষ এখানে আসতে পারছেন না । নৈশপ্রহরীও আর কাজে আসেন না । রাতে বাজারে কে বা কারা আসে বলতে পারব না । তবে আগে গোটা রাত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকত ।"
চাঁচলের পাঞ্চালি এলাকায় বাজার অসামাজিক লোকজনের দখলে চলে যাচ্ছে আরও পড়ুন :Purulia Road: বেহাল পুরুলিয়ার কোটশিলা বাজারের রাস্তা, ক্ষোভ স্থানীয়দের
বিষয়টি নিয়ে চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন, "বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি । অবিলম্বে যাতে এই বাজার নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জন্য বলা হবে।"