মালদা, 15 মার্চ: ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার হয়েছিল যুবকের পচা-গলা দেহ । ঘটনার 28 দিন পর কিনারা হল পুরো ঘটনার । স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরেই ভাইকে পিটিয়ে খুন করেছিল দাদা, এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে (Man kills younger brother on suspicion of extra marital affair) । ধৃতকে আজ 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদনে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ।
গত 17 ফেব্রুয়ারি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডাড়োল গ্রাম সংলগ্ন একটি ভুট্টা খেত থেকে পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয় যুবকের । দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ । দেহের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ ওই যুবককে চিনতে পারেননি । স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান ছিল, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিহারের কোনও ব্যক্তির দেহ হতেও পারে সেটি । অনেকেই আবার অনুমান করেছিলেন, খুন করে পুলিশ থেকে বাঁচতে দেহটি ওই ভুট্টা খেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে ।
পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দেহটি সুলতাননগর এলাকার ফুটকিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সফিকুল ইসলামের । এরপরই তদন্তের দিশা পায় পুলিশ । পুলিশ জানতে পারে, সফিকুল ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন । গত 8 ফেব্রুয়ারি ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি । সফিকুলের দাদা আসারুলের ওপর সন্দেহ হয় পুলিশের । তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, স্ত্রীর সঙ্গে ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে আসারুলের সন্দেহ ছিল । এরপর জেরা করতেই উঠে আসে সমস্ত তথ্য ।
পুলিশ জানতে পারে, 8 ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফেরার পর থেকেই দাদা-ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় । কয়েকদিনের মধ্যেই আসারুল বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সফিকুলকে খুন করে । পরে দেহটি ভুট্টা খেতে ফেলে দেয় । তবে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেদিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ । মঙ্গলবার রাতে আসারুলকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । ধৃতকে বুধবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ 10দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন:ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার ব্যক্তির পচাগলা দেহ