মালদা, 9 ডিসেম্বর : যুবতিকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় (malda rape and murder case) অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত (man gets life imprisonment )। বৃহস্পতিবার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডিশনাল সেশন জজ কোর্টের বিচারক অসীমা পাল এই নির্দেশ দেন।
2019 সালের 5 ডিসেম্বর স্থানীয় বাসিন্দারা কোতওয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আমবাগানে এক অর্ধদগ্ধ যুবতির দেহ দেখতে পান। ঘটনার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনা গোটা রাজ্যেই আলোড়ন তৈরি করে সে সময়৷ ওঠে দোষীর কড়া শাস্তির দাবি। ঘটনাস্থল যান বিজেপির রাজ্যস্তরের মহিলা নেত্রীরাও। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ছোটন ঘোষ ওরফে বাপন নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করে। এদিন তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনালেন বিচারক ৷
আরও পড়ুন :Sayantika Banerjee injured in road accident : পানাগড়ে সায়ন্তিকার গাড়িতে লরির ধাক্কা, আহত অভিনেত্রী
এবিষয়ে, সরকারী আইনজীবী তীর্থ বসু বলেন, “2019 সালের 5 ডিসেম্বর কোতওয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আমবাগানে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবতির পরিচয় জানতে পারে ৷ পরবর্তীতে ওই যুবতির পরিবারের লোকজন মালদা মেডিক্যালের হাসপাতালের মর্গে এসে যুবতির মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মৃত যুবতি ও ছোটন ঘোষ একই জায়গায় কাজ করত। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতি বিয়ের জন্য ছোটনকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ছোটন বিয়েতে রাজি হয়নি। কারণ ছোটন বিবাহিত এবং তার দুটো বাচ্চাও আছে। এরপরেই ছোটন ওই যুবতিকে খুনের চক্রান্ত করে ও কোতওয়ালির ওই আমবাগানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে প্রথমে ধর্ষণ পরে খুন করে। শুধু তাই নয় প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহও পুড়িয়ে দেয়।" ভারতীয় দণ্ডবিধির 302, 376 ও 201 ধারায় ছোটনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও 10 হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক ৷