মালদায় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে 5 লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি

আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুমি বিবির অভিযোগ, পাশের গ্রামের শাজাহান বিশ্বাস তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছেন । প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে ।

মালদা, 18 মে : পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে ৷ নাহলে প্রাণও যেতে পারে । পঞ্চায়েত প্রধানকে হুমকি দেওয়ার অভিযাগ উঠল এলাকার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । পঞ্চায়েত প্রধান রুমি বিবির অভিযোগ, এলাকার শাজাহান বিশ্বাস প্রায় দিন তাঁর কাছ থেকে টাকা চাইছেন। টাকা না পেলে তাঁকে ও তাঁর শওহরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন । ঘটনায় শাজাহানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি । মালদার কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ।

আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পরিচালিত ৷ প্রধান পদে রয়েছেন রুমি বিবি ৷ তাঁদের বাড়ি নবীনগর গ্রামের মধ্যপাড়ায় ৷ তাঁর অভিযোগ,দিন পনেরো ধরে তাঁদের বাড়িতে এসে পাঁচ লাখ টাকার দাবি করছে কালিকাপুর গ্রামের শাজাহান বিশ্বাস । টাকা না দিলে দম্পতিকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে ৷ রুমি বিবি বলেন, "আগেও এভাবে আমার কাছে টাকা দাবি করেছিল শাজাহান ৷ টাকা না দেওয়ায় তার দলবল পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করতে দিচ্ছে না । আমরা আতঙ্কে রয়েছি । এনিয়ে কালিয়াচক থানায় শাজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ আশা করছি পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে ৷ তা নাহলে যে কোনও মুহূর্তে আমাদের খুন করতে পারে শাজাহান ৷"

রুমি বিবির প্রতিবেশী সায়েদ শেখও তাঁর অভিযোগকে সমর্থন করেছেন ৷ তিনি বলেন, "মাঝেমধ্যেই শাজাহান গ্রামে এসে প্রধানকে হুমকি দিচ্ছে ৷ পাঁচ লাখ টাকা না দেওয়া হলে প্রধান আর তাঁর শওহরকে খুন করার হুমকি দিয়েছে । এর আগে প্রধানের বাড়িতে ঢুকে বাড়ির লোকজনকে মারধরও করেছে সে ৷ প্রায় এক মাস ধরে এই ঘটনা ঘটছে ৷ পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷"

স্থানীয়দের একাংশের তরফে জানা গেছে, অভিযুক্ত শাজাহান বিশ্বাসও তৃণমূলের নেতা । ঘটনায় কোথাও যেন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি ফুটে উঠছে । এনিয়ে শাজাহানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ প্রধানের অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছি বলেই আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ পুলিশি তদন্তেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ৷"

কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷