ইংরেজবাজার (মালদা), 4 মে: তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি নবজোয়ারে এই প্রথম একসঙ্গে মঞ্চে মমতা ও অভিষেক ৷ বৃহস্পতিবার মালদার ইংরেজবাজারের সুস্থানি মোড়ে নবজোয়ারের অধিবেশন মঞ্চে দেখা মিলেছে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর ৷ সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমও৷ তবে আজ বক্তব্য রাখার জন্য পিসিকেই মঞ্চ ছেড়ে দেন ভাইপো অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও জানিয়ে দেন যে তাঁর পর তৃণমূলের হাল ধরবেন অভিষেক-ফিরহাদের মতো পরবর্তী প্রজন্মের নেতারা ৷
মমতা বলেন, ‘‘আমার মৃত্যুর পরেও পরবর্তী প্রজন্ম সেই কাজ করবে ৷ ববি, অভিষেকদের কি এমনি তৈরি করছি ! এরা আমার মৃত্যুর পরেও এদের গেঁথে দেবে ৷ এই বাংলাতেই নেতাজি সুভাষ, রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ, কবি নজরুলের জন্ম৷ গান্ধিজিও বাংলাতেই পড়ে থাকতেন ৷ বাবাসাহেব আম্বেদকর বাংলা থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন ৷ তাই বাংলার গুরুত্ব অনেক বেশি ৷”
নিজের বক্তব্যে দলের ইতিহাস বর্ণনার সঙ্গে বিজেপি-সহ বিরোধীদের নানা ইস্যুতে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, “এই নবজোয়ার আন্দোলন গণচেতনা ও গণ জাগরণের একটা পদ্ধতি ৷ অভিষেক দু’মাস ধরে এই আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷ আমরা বারণ করলেও ও শোনেনি৷ ওরা রাস্তায় নেমে মানুষকে চেনার চেষ্টা করছে ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এই রাজ্যে অনাহার দেখেছি ৷ দেখেছি, মাওবাদীদের ভয়ে মানুষ কীভাবে সন্ত্রস্ত থাকে ৷ অথচ তাদের ঘরে খাবার নেই ৷ হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, থানা, রাস্তা, জল কিছুই নেই ৷ আমলাশোলের কথা মনে পড়ে ? আমি সবাইকে বলব, দলের ইতিহাস জানুন ৷ কত সংগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছে জানুন ৷ পৃথিবীর ইতিহাসে এমন সংগ্রাম করে কোনও দল তৈরি হয়েছে কি না সন্দেহ রয়েছে ৷’’