মালদা, 4 মে: প্রশাসনিক বৈঠকেও নাম না করে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে গঙ্গা ভাঙন রোধে রাজ্যের একাধিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি নদীপাড়ের জেলাগুলির মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টাও করলেন ৷ জানিয়ে দিলেন, আগামী 10 বছরের মধ্যে গঙ্গা ভাঙন অনেকটাই কমিয়ে আনা হবে ৷ ভাঙন রোধে মালদা ও মুর্শিদাবাদের জন্য 50 কোটি টাকা বরাদ্দেরও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দুই জেলার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তিনি ৷ গত জানুয়ারিতে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিতে গাজোল যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার মৃত তিনজনের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের নিয়োগপত্র দেন ৷ এরপরেই তিনি রাজ্য সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন ৷
তিনি বলেন, “মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান ৷ ভিনরাজ্যে দুর্ঘটনায় বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদের মৃতদেহগুলি আমাদেরই ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে ৷ এসব সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিক নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে ৷ ওই পোর্টালে ভিনরাজ্যে যাওয়া শ্রমিকদের সমস্ত তথ্য থাকবে ৷ প্রয়োজনে প্রশাসন কিংবা পরিবারের লোকজন ওই শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে ৷ এছাড়াও আপন বাংলা নামে আরেকটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে ৷ বাইরে গিয়ে বাংলার ছেলেমেয়েরা কোনও সমস্যায় পড়লে বা বাইরের কেউ রাজ্যকে কোনোভাবে সাহায্য করতে চাইলে এই পোর্টালের মাধ্যমে সেসব করা যাবে ৷”
এ দিন বৈঠকে এনআরসি ইস্যুতে নাম না করে ফের কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হন মমতা ৷ তিনি বলেন, “এনআরসি নিয়ে ফের চিঠি পাঠিয়েছে ৷ তবে সরাসরি এনআরসির কথা এবার লেখেনি ৷ যাই হোক না কেন, আমরা এখানে কিছুতেই এনআরসি হতে দেব না ৷ করতেও দেব না ৷ এরা এবার চাইছে, যাঁদের আধার, ভোটার, প্যান কিংবা তেমন কোনও কার্ড নেই, তাঁদের গায়ে বিদেশি তকমা লাগিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে ৷ তাই সবাই যেন এসব কার্ড করে রাখেন ৷ এরা পারে না এমন কিছু নেই ৷”