মালদা, 31 জানুয়ারি: গাজোলের সভা থেকে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার 162টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ শিলান্যাস করলেন 264টি প্রকল্পের ৷ এর মধ্যে মালদা (Malda) জেলার 51টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও 57টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন তিনি ৷ উত্তর দিনাজপুরের 60টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং 65টি প্রকল্পের শিলান্যাসের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার 51টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও 142টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ৷ তিন জেলা মিলিয়ে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলিতে খরচ হয়েছে 508.73 কোটি টাকা ৷ শিলান্যাসে বরাদ্দ হয়েছে 674.47 কোটি টাকা ৷ সব মিলিয়ে আজ প্রায় 1200 কোটি টাকার উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন তিনি ৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পর মালদা ও দুই দিনাজপুরে ঢেলে কাজ হয়েছে ৷ দুয়ারে সরকার প্রকল্পে আমরা 3 লাখ 72 হাজার ক্যাম্প করেছি ৷ সেখানে 9 কোটি 6 লাখের বেশি মানুষ এসেছেন ৷ আবেদন জমা পড়েছে 7 কোটি 74 লক্ষ ৷ পরিষেবা দেওয়া হয়েছে 6 কোটি 82 লক্ষ মানুষকে ৷ পাড়ায় সমাধানে গোটা রাজ্যে তিন হাজার প্রকল্প করা হয়েছে ৷ মালদা জেলার 123টি, উত্তর দিনাজপুরে 72টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে 47টি প্রকল্প করা হয়েছে ৷ গ্রামীণ হাট, নতুন পাওয়ার সাব স্টেশন, নতুন থানা, মহিলা থানা, নতুন স্টেডিয়াম সহ বহু কাজ করা হয়েছে ৷”
আগেই আশা করা গিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) মুখে মুখ্যমন্ত্রী নতুন কিছু ঘোষণা করতে পারেন ৷ সেটাই হয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আমরা বালুরঘাটে নতুন করে এয়ারপোর্ট বানাচ্ছি ৷ মালদা এয়ারপোর্ট বানানো হয়ে গেলেও সেটা আরেকটু বড় করতে হবে ৷ আরও জমি নিয়ে রানওয়ে বাড়াতে হবে ৷ কাজটা তাড়াতাড়ি যাতে হয়, যাতে তাড়াতাড়ি আমরা এখানে বিমান পরিষেবা চালু করতে পারি তার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পুরুলিয়াতেও আমরা আগামীতে এয়ারপোর্ট করব ৷ অনেক বড় বড় রাস্তা ও সেতু হয়েছে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের সময় মালদায় এসে আম আর আমসত্ত্ব চেয়েছিলাম ৷ মালদার মানুষ আমাকে দুটোই দিয়েছেন ৷ তার জন্য সবাইকে প্রণাম, সালাম জানাই ৷”
এরপরেই খানিকটা যেন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “মালদার মানুষ আমাকে আম আর আমসত্ত্ব দিয়েছেন বলেই এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়েছে ৷ স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে অনেক কাজ হয়েছে ৷” প্রশ্ন উঠেছে, বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় আটটি আসন না পেলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প থেকে জেলাবাসী কি ব্রাত্য থাকতেন ?