মালদা, 15 জুন : মিটে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার কাজও শুরু করে দিয়েছে ৷ আগামী 2 জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন ৷ তাই এবার শাসক শিবিরের নজর মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি আসনে ৷ নিজেদের হাতে জেলা পরিষদ থাকলেও সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন ৷ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আগামীকালই মালদার ডিভিশনাল কমিশনার মহম্মদ গুলাম আনসারির কাছে সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করতে চলেছেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যরা ৷
2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মালদা জেলায় সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেবার শুধুমাত্র মানিকচক কেন্দ্রে জয় পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ভরাডুবি ঘটে শাসকদলের ৷ কিন্তু 2015 থেকেই মালদা জেলা পরিষদের রাশ যায় শাসকদলে হাতে ৷ 2013 সালে পঞ্চায়েত ভোটে জিতে কংগ্রেস জেলা পরিষদ দখল করলেও পরবর্তীতে জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে তৎকালীন অন্যতম তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্যদের ঘর ভাঙাতে শুরু করেন ৷ 2015 সালে জেলা পরিষদ চলে আসে শাসকদলের হাতে ৷ সভাধিপতি হন সরলা মুর্মু, সহকারী সভাধিপতি হন গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷
2018 সালের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল ব্যাপক সাফল্য পায় মালদা জেলায় ৷ সেবার সভাধিপতি হন গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷ জেলার রাজনৈতিক মহলে তিনি বরাবরই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর মতোই বেসুরো হন তিনি ৷ জেলা পরিষদের 18 জন তৃণমূল সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন ৷ এরপর মালদা জেলা পরিষদে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে দাবি করতে শুরু করে পদ্ম শিবির ৷ বিধানসভা ভোটে মানিকচকে গৌরচন্দ্রকে প্রার্থী করে বিজেপি ৷ যদিও তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রের কাছে হেরে যান তিনি ৷