মালদা, 18 অক্টোবর:কখনও মহিলার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার, কখনও ব্যাগ থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা ৷ এর জেরে পুজোর মুখে হরিশ্চন্দ্রপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এলাকাবাসীর প্রশ্ন তোলা স্বাভাবিক ৷ কিন্তু উদ্ধার হওয়া বোমা এক ভিলেজ পুলিশকর্মী যে পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করেছেন, তাতে তিনি পুলিশের প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ৷
বুধবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ঝিকোডাঙা গ্রামে একটি আমবাগান ও ধানখেতের মাঝামাঝি জায়গায় নতুন একটি নাইলনের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে 7-8 বছরের এক কিশোর ৷ নতুন ব্যাগ দেখে সে সেটি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ কিছুটা গিয়ে সে দেখে, ব্যাগে রয়েছে ধানের তুষ ৷ বাচ্চাটি ব্যাগ খালি করতেই ব্যাগ থেকে বের হয়ে পড়ে দুটি বড় মাপের বোমা ৷ সঙ্গে একটি ছুরি ৷ আতঙ্কে সে ব্যাগ ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ তার মুখ থেকে সব শুনে ঘটনাস্থলে চলে আসেন গ্রামবাসীরা ৷ চলে আসেন সেখানকার ভিলেজ পুলিশকর্মীও ৷ তিনি ব্যাগ-সহ বোমা দুটিকে হাতে তুলে রাস্তায় নিয়ে আসেন ৷ জল ঢেলে বোমা দুটি নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করেন ৷ কে বা কারা বোমা-ছুরি থাকা ব্যাগটি সেখানে রেখে গিয়েছে, তার কোনও হদিশ নেই গ্রামবাসীদের কাছে ৷
গ্রামের পাণ্ডব মহালদার বলেন, "এখানে নতুন ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে বাচ্চাটির কৌতূহল বাড়ে ৷ সে ভিতরে থাকা জিনিস ঢেলে খালি করার চেষ্টা করতেই ব্যাগ থেকে দুটি বোমা আর একটি ছুরি বেরিয়ে আসে ৷ ভয়ে বাচ্চাটি সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ কে বা কারা এ সব এখানে রেখে গিয়েছে জানি না ৷ তবে গ্রামের কোনও ক্ষতি করতেই এ সব এখানে রেখে যাওয়া হয়েছে ৷ ভিলেজ পুলিশ এসেছে ৷ তবে এখনও থানার পুলিশ আসেনি ৷"