মালদা, 27 মে : ঘূর্ণিঝড় যশের আফটার শকে দিশেহারা মালদা ৷ বুধবার ল্যান্ডফলের পর ঘূর্ণিঝড় কিংবা নিম্নচাপের কোনও প্রভাব বুঝতে পারেননি মালদাবাসী ৷ কিন্তু বুধবার রাত গড়াতেই আকাশ কালো করে আসে ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজেছে গোটা জেলা ৷ বেলা যত গড়িয়েছে, বৃষ্টির তোড়ও বেড়েছে ৷ দুপুর থেকে শুরু হয়েছে অবিরাম বর্ষণ ৷ তুমুল বৃষ্টিতে ফসলের ভাল ক্ষতি হয়েছে ৷ তবে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে মালদা শহর ৷ নিকাশির সুব্যবস্থা না থাকায় গোটা শহরই কার্যত চলে গিয়েছে জলের তলায় ৷ মালদা মেডিকেল কলেজ তো বটেই, জলে ভাসছে জেলা আদালত, এমনকি খোদ প্রশাসনিক ভবনও ৷ অসংখ্য বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে জল ৷
যশ আসার আগেই ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দুলাল সরকার সতর্ক করেছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, যশের প্রভাবে ডুবতে চলেছে মালদা শহর ৷ কারণ দীর্ঘদিনের চেষ্টাতেও শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা যায়নি ৷ বিধানসভা নির্বাচন এবং পৌরসভার প্রশাসনিক জটিলতায় সময়মতো নর্দমাগুলিও পরিষ্কার করা যায়নি ৷ এর ফলে গোটা শহরই জলে ভাসবে ৷
দুলালবাবুর আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রায় গোটা শহর চলে গিয়েছে জলের তলায় ৷ খোদ জেলাশাসকের বাংলোয় জল জমেছে ৷ উপড়ে গিয়েছে বাংলোর গাছ ৷ একাধিক বাজার জলে ভাসছে ৷ জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারকের দফতর, জিআরও অফিস জলের নীচে ৷ প্রশাসনিক ভবনও জলবন্দি ৷