মালদা, 1 ডিসেম্বর: শুক্রবারের সন্ধ্যা ৷ জমজমাট মালদা শহরের ফোয়ারা মোড় ৷ হঠাৎ সেখানে হাজির একটি ট্রাই সাইকেল ৷ ফ্লেক্স-সহ বিভিন্ন কাগজের সরঞ্জামে সুসজ্জিত ৷ চালক মাঝবয়সী এক ব্যক্তি ৷ হাফ প্যান্ট ও হাফ শার্ট পরিহিত ৷ মুখে দাড়ি ৷ ফ্লেক্সের লেখা পড়ে চমকে উঠলেন অনেকেই ৷ সেখানে লেখা, ‘মমতাময়ী দিদিমনির শেষ ভরসায় আমি, দেন যে কোনও একটা চাকরি ৷ না হলে আমায় অনুমতি দিন, আত্মহত্যা করে মরি ৷’ মুহূর্তের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ভিড় জমে যায় এলাকায় ৷ জানা গিয়েছে, চাকরির দাবিতে নিখিল সরকার ওই ব্যক্তি নবান্ন অভিযানে বেরিয়েছেন ৷ বিশেষভাবে সক্ষম তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘ লড়াই লড়ে তিনি ক্লান্ত, বিধ্বস্ত ৷ চাকরি না-দিলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে যেন আত্মহত্যা করার অনুমতি দেন ৷
44 বছর বয়সি নিখিল বাংলায় এমএ, বিএড ৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় তিনি দু’বার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি ৷ একবার প্রাথমিক টেট পরীক্ষাতেও বসেছিলেন ৷ এক নম্বরের জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেননি ৷ যদিও সেই পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে ৷ এর আগে দু’বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্ন গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু দেখা মেলেনি ৷ বিধবা দিদিকে নিয়ে দিন কাটাতে এখন তাঁর হিমশিম দশা ৷ নিখিল তফশিলি জাতিভুক্ত ৷ বয়সও বাড়ছে, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি চাকরি পাওয়ার বয়স 45 বছর, ফলে আর একটি বছরই তাঁর সম্বল ৷ আইন অনুযায়ী তারপর তিনি আর কখনও সরকারি চাকরি পাবেন না ৷