ইংরেজবাজার , 23 জুন: “একবার ম্যায়নে জো কমিটমেন্ট করদি, ফের ম্যা আপনে আপ কি ভি নেহি শুনতা ।” বলিউডের এই বিখ্যাত ডায়ালগকে সঙ্গী করেই যেন মালদা শহরের রাস্তায় নেমেছেন দাবাং । প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলেই নির্দেশিকা অনুযায়ী আইনের পথ মানছেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক তথা ইংরেজবাজারের পৌরসভার প্রশাসক ।
ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন সদর মহকুমা শাসক (মালদা) সুরেশচন্দ্র রানো । যশ পরবর্তী প্রভাবে কার্যত আট-দশ দিন জলের তলায় ছিল মালদা শহরের বেশ কিছু এলাকা । এরপরেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিতে নেমে পড়েন পৌরসভার প্রশাসক । শহরের সমস্ত নিকাশি নালা পরিষ্কারের নির্দেশ দেন তিনি । তাতেও সমস্যায় পড়তে হয় পৌর কর্তৃপক্ষকে ।
শহরের বেশিরভাগ হাইড্রেনের উপর অবৈধভাবে দোকানদাররা দোকান পেতেছিল । সেই দোকানগুলি অবিলম্বে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পৌরসভার পক্ষ থেকে । নির্দেশের পরেও দোকান না তোলায় উচ্ছেদ অভিযানে নামেন খোদ মহকুমা শাসক । সাফাই করতে গিয়ে দেখা যায় প্লাস্টিকে ভরে রয়েছে হাইড্রেনগুলি । পরদিনই মাইকিং করে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দেন রানো সাহেব । নিকাশি ব্যবস্থায় কাজের পাশাপাশি শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন তিনি । দেখা যায় শহরের যানজটের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার ওপর বেআইনিভাবে দোকানগুলি ।
আরও পড়ুন...Kaliachak Murder Case : কীভাবে খুন-কীভাবেই বা বাঁচল দাদা, ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখাল আসিফ
পাশাপাশি শহরের রাস্তায় যেখানে সেখানে গরু-ছাগল ঘুরে বেড়ায়, বসে থাকে । এরপরই পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়, শহরে গবাদি পশু যদি পালন করতে হয় তবে পৌরসভার অনুমতি নিতে হবে এবং কোনওভাবেই রাস্তায় গবাদি পশু ছাড়া যাবে না । রাস্তায় গবাদি পশু ঘোরাঘুরি করলে পৌর কর্তৃপক্ষ সেই গবাদি পশুকে আটক করবে এই নিয়ে গত তিনদিন ধরে সারা শহর জুড়ে এই নির্দেশিকা মাইকিং করে জানানো হয়।