মালদা, 3 এপ্রিল: এক খিলি পানের দাম 2100 টাকা ! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব ৷ গল্প ফুরোনোর সময় ফের যেন জেগে উঠেছে বাঙালির পান রসনা পূরণের তাগিদ ৷ একসময় দুপুরে খাবারের পাট মিটিয়ে বাড়ির মহিলারা একত্রিত হতেন ৷ সঙ্গে পানের বাটা আর গল্পের ঝুড়ি ৷ এখন অবশ্য সেসব অতীত ৷ বাঙালির সেই পুরনো পান-বাহারের দিন ফিরিয়ে আনতে নেমে পড়েছেন সমান্তা ৷ মালদায় চালু করেছেন তাঁর 'ফ্যামিলি পান ক্যাফে' ৷ উত্তরবঙ্গে প্রথম ৷ সেখানে রয়েছে একশোরও বেশি ধরনের পানের সম্ভার ৷ শুধু বয়স্করাই নয়, তাঁর তৈরি পানের প্রেমে পড়েছে জেনারেশন ওয়াইও ৷ বিভিন্ন ফ্লেভার, আকার, ডিজাইনের পানে কামড় বসিয়েছেন সকলেই ৷
দিন সাতেক আগেই মালদা শহরের বালুচরে পানের ক্যাফে চালু করেছেন সমান্তা দাস ৷ তিনি বলছেন, "পানের ব্যবসাটা আমাদের পারিবারিক ৷ 15-20 বছর হয়ে গেল ৷ ছোটবেলায় আমরা দাদু-ঠাকুমাদের কাছে মিষ্টি কিংবা জর্দা পান খেয়েছি ৷ সেই পানকেই নতুনভাবে উপস্থাপনের কথা ভেবেছিলাম ৷ ভাবনাকে বাস্তবে রূপও দিয়ে ফেলেছি ৷ আমার স্বামীও এক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছেন ৷ মিষ্টি কিংবা জর্দা তো বটেই, তাছাড়াও আমাদের এখানে 100 ধরনের পান রয়েছে ৷ যেহেতু এটা পানের ক্যাফে, তাই এখানে বাচ্চাদের খাবারের মতো পান-ও রয়েছে ৷ সেটাও অন্তত 40 ধরনের ৷ আমরা পানে চুন-সুপারি কিংবা খয়ের ব্যবহার করি না ৷ এখনও পর্যন্ত লাড্ডু পানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ৷ পান এবং মশলা দিয়ে সেটিকে ডেজার্ট হিসাবে তৈরি করা হয়েছে ৷ আমার এখানে 30 টাকা থেকে 2100 টাকা দামের পান রয়েছে ৷ পানের পাতা এবং মশলা, সবই বেনারস থেকে আসে ৷ ওই পানপাতা এত নরম যে খেলেও মুখে ভারি ভাব বোঝা যায় না ৷ আসলে বাংলায় পানের যে প্রাচীন ঐতিহ্য, সেটাই আমি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি ৷"