মালদা, 7 অক্টোবর : করোনায় গতবার শুধু মন্দির নয়, মন্দির চত্বরেই জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা । অনলাইনে পুজো দেখে সন্তুষ্ট হতে হয়েছিল ভক্তদের । এবার করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে । তাই কিছু বিধিনিষেধ জারি করে দুর্গাপুজোয় ভক্তদের আশ্রমে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে মালদা রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ । আজ ইটিভি ভারতকে সেকথা জানিয়েছেন মঠাধ্যক্ষ স্বামী ত্যাগরূপানন্দজি মহারাজ ।
আগামী সোমবার থেকেই মালদা রামকৃষ্ণ মিশনে শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো । মহাষষ্ঠী থেকে মিশনে পুজো শুরু হয়ে যায় । এখন মিশনে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা । গত বছর থেকে বুলবুলচণ্ডীর এক মৃৎশিল্পী মিশনের মাতৃমূর্তি তৈরি করছেন । সেখান থেকেই মহাপঞ্চমীতে প্রতিমা আশ্রমের মন্দিরে নিয়ে আসা হবে । এই মুহূর্তে মন্দির চত্বরে চলছে প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার কাজ । নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেসব তদারকি করছেন মঠাধ্যক্ষ ।
আরও পড়ুন :Durga Puja Special : ইন্দো-বাংলা সীমান্তে জমিদারবাড়িতে একইসঙ্গে পুজো হয় সোনা ও মাটির দুর্গার
ইটিভি ভারতকে স্বামী ত্যাগরূপানন্দজি মহারাজ বলেন, “এবার পুজোয় হাইকোর্টও কিছু বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে । সব মিলিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবারও আমরা নাটমন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ করতে দেব না । তবে যেহেতু করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে, তাই মন্দিরের সামনে প্যান্ডেলের নীচে নির্দিষ্ট বিধি মেনে ভক্তরা উপস্থিত থাকতে পারবেন । সেখানে তাঁদের জন্য আলো-পাখার ব্যবস্থাও করছি ।’’
কুমারী পুজো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমরা কুমারী পুজোর কথা ভেবেছি । তবে ওই পুজো মাত্র 45 মিনিটের । ছোট পুজো । তার প্রস্তুতিও নিচ্ছি ।’’ আর দুর্গাপুজোকে তিনি কলিকালের রাজসূয় যজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছেন । তিনি বলেন, ‘‘ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত বিশদ পুজো হয়ে থাকে । দশমীতে হয় সংক্ষিপ্ত পুজো । এই পুজোয় লোকবল, অর্থ, দক্ষ মানুষজন লাগে । আমরা তার ব্যবস্থা করছি । পুজোয় সংক্ষিপ্ত আকারে খিচুড়ি ভোগেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে । তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।’’