আট বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে

দেশে নাবালিকা ধর্ষণ চলছে ৷ প্রত্যন্ত গ্রামের আট বছরের মেয়েকে চকোলেট, টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷

মালদা, 8 জুন : টাকা আর চকোলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার একটি গ্রামে ৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক 61 বছর বয়সের ওই শিক্ষক ৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷

ধর্ষিতা নাবালিকার বয়স মাত্র আট বছর ৷ স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সে ৷ বাবা শিলিগুড়ির একটি কারখানায় কাজ করেন ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ওই বাচ্চাটি বাড়ির পাশে আমবাগানে খেলছিল ৷ ওই বাগানের মালিক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ৷ বাগানের পাশেই তার বাড়ি ৷ সে নাকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়েটিকে চকোলেট দেওয়ার নাম করে বাড়ির ভিতর নিয়ে যায় ৷ তারপর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ৷ এদিকে মেয়েটির এক দিদি তাকে খুঁজতে আমবাগানে আসে ৷ সেই সময় ওই শিক্ষকের ঘরের জানালা দিয়ে সে গোটা ঘটনা দেখে ফেলে ৷ সেই দিদি বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে ৷

গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, "চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নয় বছরের বাচ্চা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই বৃদ্ধ ৷ মেয়েটির এক তুতো দিদি সেই ঘটনা দেখে বাড়িতে এসে সব জানায় ৷ সেই খবর পেয়ে মেয়েটির মা ওই বাড়িতে গিয়ে এর বিচার চায় ৷ কিন্তু ওই বৃদ্ধের বাড়ির লোকজন তাতে আমল দেয়নি ৷ এরপরেই ধর্ষিতা মেয়েটির মা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে ৷ পুলিশ গ্রামে এসেছিল ৷ কিন্তু অভিযুক্ত গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে ৷ আমরা তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি ৷"

মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় রবিবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয় ৷ তার ভিত্তিতে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ নির্যাতিতা নাবালিকা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ সে এখন সুস্থ ৷