মালদা, 10 নভেম্বর: গৌড়বঙ্গের তিন জেলার মধ্যে মালদা মেডিক্যালেই (Malda Medical college) সবচেয়ে বেশি প্রসব হয় ৷ কিন্তু সে তো মানুষের ৷ কিন্তু এবার মানুষের সঙ্গে মশার জন্মস্থান হিসেবেও যেন রেকর্ড গড়তে চলেছে এই মেডিক্যাল কলেজ ৷ রাজ্যের নানা প্রান্তে ডেঙ্গির রমরমার মধ্যেই মালদা মেডিক্যাল যেন হয়ে উঠেছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ৷ আতঙ্কে রোগী থেকে শুরু করে তাঁদের আত্মীয়-পরিজনরা (Malda Medical Mosquito Problem) ৷
মালদা মেডিক্যালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটের একাংশেই রয়েছে সার্জারি বিভাগ ৷ মালদা তো বটেই, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের একাংশ, এমনকি বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর রোগী এই বিভাগে ভর্তি হন ৷ কিন্তু সেই ওয়ার্ডের প্রবেশপথেই তৈরি হয়েছে মশার উৎপত্তিস্থল ৷ গেটের ঠিক পাশে এই বিভাগের শৌচাগার থেকে বেরিয়ে আসছে নোংরা জল ৷ সেই জল জমা হচ্ছে সেখানেই ৷ বদ্ধ জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা ৷ উড়ছে মশা ৷ যখন ডেঙ্গি গোটা রাজ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, তখন সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এমন দৃশ্য ভাবিয়ে তুলছে সকলকে (Malda Medical becomes the breeding place of mosquito) ৷
আরও পড়ুন: ঠান্ডা পড়লে ডেঙ্গি কমে যাবে, এখন সাবধানে থাকুন; নদিয়ায় সতর্কবার্তা মমতার
12 দিন ধরে এই ওয়ার্ডের পাশে বসেই দিন কাটাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার চন্দনপুর গ্রামের রাহুল হোসেন ৷ তিনি জানালেন, “আমার রোগী 12 দিন ধরে এখানে ভর্তি আছে ৷ বাইরেই বসে থাকতে হয় ৷ এখানে সাফাই হয় না ৷ ভিতরে কেমন সাফাই হয়, তা সবসময় বোঝা যায় না ৷ গেটের পাশে ভীষণ নোংরা ৷ বাথরুম থেকে জল বেরিয়ে সেই জল জমা হচ্ছে পাশেই ৷ বদ্ধ জলে মশা বংশবিস্তার করছে ৷ এখানে যাতে মশা না-হয় তার জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷ কারণ, রোগীরা ভিতরে ভর্তি থাকলেও তাঁদের বাড়ির লোকজনকে বাইরেই বসে থাকতে হয় ৷”
মালদা মেডিক্যাল হয়ে উঠেছে মশার প্রসবঘর ! বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন,“ওই জায়গায় হয়তো ড্রেনেজ সিস্টেম কোনও কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ আমি নিজে সরেজমিনে খতিয়ে দেখছি ৷ বিষয়টি আমি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা সংস্থা, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনকেও জানাচ্ছি ৷ এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ হাসপাতালের জমা জল বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য আমরা একাধিক পদক্ষেপ করেছি ৷ অন্যান্য যেসব জায়গায় এখনও জল জমে রয়েছে তারও ব্যবস্থা করা হবে ৷ কিন্তু ট্রমা কেয়ার ইউনিটের পাশে থাকা জমা জল নিকাশ করতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷”