মালদা, 14 মার্চ:হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা দশ মিনিট পর পরীক্ষায় বসলেন এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ পরিবারের অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতে পরীক্ষা চলাকালীনই চিকিৎসাধীন ওই পরীক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে স্তম্ভিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (HS Exam) দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকও ৷
ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Super Specialty Hospital) ৷ পরীক্ষার্থীর নাম সুমি পারভিন ৷ বয়স 18 বছর ৷ তিনি চাঁচলের দরিয়াপুর হাইস্কুলের ছাত্রী ৷ পরীক্ষার সিট পড়েছিল কলিগ্রাম হাইস্কুলে ৷ পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে বিয়ে হয়ে যায় সুমির ৷ অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন তিনি ৷ কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হওয়ায় সুমিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিট হাসপাতালে ভর্তি করে দেন পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, সুমি যে হাসপাতালে বসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৷
কিন্তু অভিযোগ, তার জন্য যে নিয়ম অনুসরণ করা প্রয়োজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি ৷ মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও চিকিৎসাধীন সুমি সঠিক সময়ে হাতে প্রশ্নপত্র পাননি বলে অভিযোগ (candidate received question paper one hour late) ৷ শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ৷ হাসপাতালেই সুমির পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সুমির হাতেও প্রশ্নপত্রও তুলে দেওয়া হয় ৷ তবে ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটায় বেজে গিয়েছে 11.10 ৷