রাজ্যে প্রথম বইবাগান মালদায় মালদা, 20 ফেব্রুয়ারি: বইবাগান, মালদা জেলা গ্রন্থাগারের (Malda District Library) নতুন ভাবনা ৷ রাজ্যে এমন উদ্যোগ প্রথম মালদাতেই নেওয়া হয়েছে ৷ আজ সেই বইবাগানের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ৷ একইসঙ্গে তিনি আজ ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করেন ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, দুই কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডু ও কাকলি চৌধুরী, জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া-সহ আরও অনেকে ৷
জেলা গ্রন্থাগার সংলগ্ন বাগানেই তৈরি করা হয়েছে এই বইবাগান ৷ খোলা আকাশের নীচে প্রকৃতির মাঝে বই পড়তে পারবেন সবাই ৷ বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালির মধ্যে সেখানে তৈরি করা হয়েছে একটি ফোয়ারা ৷ রয়েছে ছোট একটি ক্যাফেটোরিয়া ৷ ইচ্ছে হলে কেউ চা বা কফির পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতেও বই পড়তে পারেন ৷ জেলা গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তুষারকান্তি মণ্ডল জানান, এখানে তিন হাজারের কিছু বেশি রেজিস্টার্ড পাঠক রয়েছেন ৷ প্রতিদিন অন্তত একশোর বেশি পাঠক গ্রন্থাগারে আসেন ৷ তাঁদের অনেকেই এখানে বই পড়েন ৷ এখানে কেরিয়ার গাইডেন্স সেন্টার চালু হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরাও নিয়মিত পড়াশোনা করতে আসছেন ৷ যদি কোনও পাঠক মনে করেন, তিনি এই বাগানে বসে প্রকৃতির মাঝে বই পড়তে পারেন ৷
বইবাগানে বসে বই পড়তে পারবেন পাঠকরা গ্রন্থাগারমন্ত্রী জানান, এর আগে যখন তিনি এই লাইব্রেরিতে এসেছিলেন । তখন দেখেছিলেন, লাইব্রেরির পাশে ঘন জঙ্গল রয়েছে ৷ বিষয়টি তিনি জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিককেও বলেন ৷ শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকরা বিষয়টিতে নজর দেন ৷ এগিয়ে আসেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানও ৷ অবশেষে সেই জঙ্গল কেটে তৈরি করা হয়েছে ফুলের বাগান ৷ তবে এই বাগানকে সংরক্ষণ করতে হবে বলে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন ৷
বইবাগানের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তিনি বলেন, "এই বাগানকে সংরক্ষণ করার দায়িত্ব গ্রন্থাগার আধিকারিকেরই ৷ রাজ্যে প্রথম এমন বইবাগান তৈরি হল ৷ সেই পথ দেখাল মালদা জেলা গ্রন্থাগার ৷ এই বাগানে বই পড়তেও ভালো লাগবে ৷ এই পরিবেশে বই পড়তে অবশ্যই ভালো লাগবে সকলের ৷ এখানে কেরিয়ার গাইডেন্স সেন্টারও চালু হয়েছে ৷ এবার আমরা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যও কিছু করতে চাইছি ৷ তবে মালদা জেলা গ্রন্থাগারের ভবনটি অনেক পুরোনো ৷ জরাজীর্ণ দশায় রয়েছে ৷ আমি এর জন্য জেলাশাসককে প্ন্যান এবং এস্টিমেট তৈরি করে আমাদের দফতরে পাঠাতে বলেছি ৷ আমরা যথাসাধ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব ৷ এটা আমাদের কর্তব্যও বটে ৷"
আরও পড়ুন:মদের ঠেক, জুয়ার আসর অতীত; দিশা দেখাচ্ছে কালচিনির 'ট্রি লাইব্রেরি'