মালদা, 18 ডিসেম্বর : তবে কি আগামীকালই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস ৷ এখনও তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা না জানালেও আজ তাঁর স্বামী, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত বিশ্বাস দলের সংস্রব ত্যাগ করেছেন ৷ হোয়াটসঅ্যাপে তিনি সেই বার্তা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরকেও পাঠিয়ে দিয়েছেন ৷ যদিও মৌসমের দাবি, তিনি রঞ্জিতবাবুর তরফে এমন কোনও বার্তা পাননি ৷ তবে আজ তাঁর সঙ্গে রঞ্জিতবাবুর ফোনে কথা হয়েছে ৷ তিনি তাঁর কিছু ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন ৷ আলোচনার মাধ্যমে তাঁর ক্ষোভ মিটিয়ে ফেলা হবে ৷ তবে মৌসম যাই বলুন না কেন, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রঞ্জিতবাবু তো বটেই, তাঁর সঙ্গে বিধায়ক স্ত্রী দীপালিরও বিজেপিতে যোগ শুধু সময়ের অপেক্ষা ৷ জল্পনা আরও গাঢ় হয়েছে এই মুহূর্তে দু’জন কলকাতায় থাকায় ৷ প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি আগামীকাল মেদিনীপুরের সভাতেই অমিত শাহের হাত থেকে গেরুয়া ঝান্ডা ধরছেন তৃণমূলের এই নেতা-নেত্রী ৷
আরও পড়ুন : তৃণমূল ছাড়লেন বিধায়ক বনশ্রী মাইতি
রঞ্জিতবাবু একসময় ছিলেন সিপিএমের গাজোল জ়োনের সম্পাদক ৷ ষোলোর বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী দীপালি বিশ্বাসকে টিকিট দেয় দল ৷ ভোটে জেতার পরেই 21 জুলাই ধর্মতলায় ঘাসফুলের ঝান্ডা ধরেন দীপালিদেবী ৷ এর পিছনে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর হাত ৷ কিছুদিনের জন্য তাঁকে শাসকদলের গাজোল ব্লক সভানেত্রীর পদও দেওয়া হয় ৷ কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে দলে প্রভাব কমতে শুরু করে বিশ্বাস দম্পতির ৷ তাই শেষ পর্যন্ত দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রঞ্জিতবাবু ৷ আজ মৌসম নুরকে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, 2016 সালের 21 জুলাই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় তাঁকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ৷ তার একটিও এখনও পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি ৷ বর্তমানে দলে তাঁর কোনও সম্মান নেই ৷ তিনি মনে করছেন, দল তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ তাই তিনি দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ৷
আরও পড়ুন : ‘‘দলের বোঝারা দল ছাড়ছে’’, কোর কমিটির বৈঠকে বললেন মমতা